Thursday, January 31, 2019

করোনারী আর্টারী বা করোনারি বাইপাস সার্জারিঃ

 করোনারী আর্টারী বাইপাস সার্জারি বা হৃৎকপাটিকা মেরামত করার সময় সার্জন কোনো রকমের বড় ধরনের কাটা-ছেড়া না করে বুকের মাঝ বরাবর ছোট একটা ছিদ্র করে তার ভেতরে ক্যামেরাযুক্ত যন্ত্র ঢুকিয়ে রোগীর অভ্যন্তরভাগ দেখেন ভিডিওর মাধ্যমে পর্দায়।
 এই প্রক্রিয়ায় সার্জারি করার ফলে সময় ও ব্যথা উভয়ই কম লাগে, সংক্রমণজনিত জটিলতাও কম হয়।

সতর্কতাঃ
 সাধারণত জটিল কার্ডিওভাস্কুলার রোগে ওপেন হার্ট সার্জারির স্মরণাপন্ন হতে হয়।
 সার্জারির পর ভুক্তভোগীকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। যেমন- বয়স-উচ্চতার সঙ্গে মিল রেখে ওজন ঠিক রাখা, হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখে এমন আহার গ্রহণ করা, কোনো রকম চাপ না নেওয়া নিজেকে সর্বদা চাপ থেকে মুক্ত রাখা, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপানে অভ্যস্ত থাকলে ছেড়ে দেওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা।

করোনারি বাইপাস সার্জারিঃ
 তিন বা ততোধিক করোনারি ধমনির গহ্বর বন্ধ হয়ে গেলে হৃৎপিন্ডে রক্ত সরবরাহ চলাচল রাখতে সার্জারির মাধ্যমে দেহের অন্য অংশ থেকে যেমন- পা থেকে একটি রক্তবাহিকা কেটে এনে রূদ্ধ ধমনির পাশে স্থাপন করে রক্ত সরবরাহের যে বিকল্প পথ সৃষ্টি করা হয় তাকে করোনারি বাইপাস সার্জারি বলে।
 করোনারি বাইপাস সৃষ্টির সামগ্রিক সার্জারি প্রক্রিয়াটিকে করোনারি বাইপাস সার্জারি বলা হয়।
 করোনারি বাইপাস সার্জারি একটি জটিল প্রক্রিয়া।এই রোগ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় সার্জন প্রথমে করোনারি ধমনির রোগের সঠিক অবস্থান, ধরন ও ব্যাপকতা নির্ণয় করেন। পরবর্তী ধাপে অসুখ-বিসুখের অবস্থা ও জীবনযাত্রা, রোগীর হৃৎপিন্ড, রোগের লক্ষণ এই সমস্থ পদ্ধতি বিবেচনা করে সার্জন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়। বন্ধ করোনারি ধমনি ভিন্নপথ নির্মাণ করতে বুক, হাত, পা ও তলপেট থেকে ধমনি সংগ্রহ করা হয়। কয়টি করোনারি ধমনি বাইপাস করতে হবে তার উপর নির্ভর করে সার্জারির সময়। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ ঘন্টা সময়ের মধ্যে বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। কোন রকম বড় সমস্যা না থাকলে ২ মাসের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে যায় এবং সব শেষে রোগীকে নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকতে হয়।

নিষিদ্ধকরণঃ
 বাইপাস সার্জারির পর রোগীকে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। যেমন- কোলেস্টেরলের চিকিৎসা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ত্যাগ, নিজের স্বাস্থ্য অনুযায়ী ওজন বজায় রাখা, কোনো রকম চাপ না নেওয়া ও রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, সমায়মত ওষুধ সেবন করা, এবং চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করা।
 ভারতে চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো ধরণের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন।(মেডিকেল ভিসা , ডাক্তার এর এপয়েন্টমেন্ট, সেকেন্ড ওপিনিয়ন)