Friday, December 7, 2018

মেরুদন্ডের ব্যথার প্রধান কারণ ও সমাধানঃ


মেরুদন্ডের ঘাড়, পিঠ ও কোমরের ব্যথার অভিজ্ঞতা কম বেশি আমাদের মধ্যে সকলের আছে। আঘাতহীন ব্যথার জন্য প্রথমে মেরুদন্ডে হালকা ব্যথা হলেও পরে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরের অন্য কোনো অংশে। সেই জন্য মেরুদন্ডের ব্যথায় সবার আগে প্রয়োজন সঠিক রোগ নির্ণয়। তা না হলে বাড়তে থাকবে রোগীর যন্ত্রণা। 


মেরুদন্ডের গঠন অনুযায়ী মাথার খুলির নীচ থেকে প্রথম ৭টি হাড় বা কশেরুকা নিয়ে ঘাড়, পরবর্তী ১২টি হাড় নিয়ে পিঠ, তার নিচের ৫টি হাড় নিয়ে কোমড় গঠিত।
মেরুদন্ডের সমস্যায় ঘাড়ে যে সকল লক্ষন দেখা দেয়ঃ
• ঘাড় থেকে উৎপন্ন ব্যথা হাতে ছড়িয়ে পরা
• হাতের বিভিন্ন অংশে ঝিন-ঝিন করা
• ধীরে ধীরে হাত দূর্বল হয়ে হাতের কার্য ক্ষমতা লোপ পাওয়া
• দাড়ানো বা বসা অবস্থায় ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হওয়া
• প্রাথমিক পর্যায়ে কাঁধ ও হাতে ব্যথা

কোমরে ব্যথার লক্ষন সমূহঃ
• পায়ের বিভিন্ন অংশে ঝিন-ঝিন করা
• পায়ের বোধ শক্তি কমে আসা পর্যায়ক্রমে পায়ের অসারতা
• দাড়ানো বা বসা অবস্থায় কোমড়ে ব্যথা অনুভূত হওয়া
• ধীরে ধীরে পা দূর্বল হয়ে পায়ের কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়া
• কোমড় থেকে উৎপন্ন ব্যথা পায়ে ছড়িয়ে পড়া
• পায়ের নিতম্ব ও পায়ের মাংস পেশীতে ব্যথা
• চুড়ান্ত পর্যায়ে পঙ্গুত্ব বরণ করা, এছাড়াও বসা ও দাড়ানো অবস্থায় পিঠে ব্যথা এবং পিঠ থেকে বুকের চারপাশে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে
নানান কারনে মেরুদন্ডের ব্যথার উৎপত্তি হয়ে থাকে। মেরুদন্ডের হাড় গুলির ভিতর দিয়ে মাথার খুলি থেকে নেমে আসা স্পাইনাল কর্ডে দুই হাড়ের মধ্যবর্তী ডিস্কের কোন অংশ বের হয়ে গিয়ে চাপের সৃষ্টি করলে ঐ স্নায়ু মুলেও সেখান থেকে বেড়িয়ে যাওয়া নার্ভের বিচরন ক্ষেত্রে ব্যথা হয়। এই ধরনের ব্যথা কে বলা হয় মেরুদন্ডের হাড়ের ক্ষয়। প্রকৃত পক্ষে মেডিক্যাল টার্মে এই জটিলতাকে ডিস্ক প্রোল্যাপ্স / হার্নিয়েটেড ডিস্ক/ স্পাইনাল স্টেনোসিস বলা হয়।
এই রোগে অতিরিক্ত যন্ত্রনায় রোগীরা সাধারণত ব্যথানাশক ঔষধের উপর নির্ভর করে সাময়িক ব্যথা মুক্তির চেষ্টা করে কিন্তু নিয়মিত এই ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়ার ফলে কিডনী বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুকি অনেক বেড়ে যায়। তাই ঘাড়, পিঠ ও কোমরের এই ব্যথা অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।

No comments:

Post a Comment