Saturday, February 16, 2019

নিন্মলিখিত যে কোনো রোগের উপর ভারতের অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন অথবা আপনার মেডিকেল রিপোর্ট আমাদেরকে মেইল করুন (মেডিকেল ভিসা , ডাক্তার এর এপয়েন্টমেন্ট, সেকেন্ড ওপিনিয়ন)     
। কিডনি ও রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট (রোবোটিক/ ল্যাপ্রোস্কোপিক)
২। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ও অন্যান্য হেপাটোবিলিয়ারি সার্জারি ।
৩। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (অটোলোগাস, আলোজিনিক, হেপ্লু এবং ম্যাড ট্রান্সপ্লান্ট)
৪। ক্যান্সার এর চিকিৎসা (সার্জারি, রেডিয়েশন, কেমো, গামানাইফ চিকিৎসা)
৫। ব্রেইন এবং স্পাইন সার্জারি। (ডিস্ক প্রলাপ্স, এপিলেপসি, ব্রেন টিউমার ইত্যাদি)
৬। কার্ডিয়াক এবং হার্ট এর সার্জারি। (বাইপাস সার্জারি, স্টেন্টিং, এনজিওপ্লাস্টি, এ ভি আর, এ এস ডি, পেসমেকার ইত্যাদি)
৭। ইনফার্টিলিটি চিকিৎসা (টেসা/ পিসা/ আই. ভি. এফ/ আই. সি. এস. আই/ আই. এম. এস. আই/ এম্ব্র ফ্রেইজিঙ/ সারোগেসি ইত্যাদি)
৮। হাঁটু জয়েন্ট, হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট এবং অন্যান্য অর্থোপেডিক্স সার্জারি।
৯। কসমেটিকস এবং রিকনস্ট্রাশন সার্জারি (প্লাষ্টিক সার্জারি এবং হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ইত্যাদি)
১০। চক্ষু চিকিৎসা (ল্যাসিক, ক্যাটারাক্ট, রেটিনা, কর্নিয়া, গ্লুকোমা ইত্যাদি)
১১। নাক কান গলার সার্জারি (হিয়ারিং এইডস, ককলিয়ার ইমপ্লান্ট ইত্যাদি)
১২। ডেন্টাল সার্জারি (রুট ক্যানেল, ইমপ্ল্যান্ট, ম্যাক্সিলোফেসিয়াল ইত্যাদি)


Friday, February 8, 2019

স্তন ক্যান্সারঃ

স্তন ক্যান্সারকে নারীদের নীরব ঘাতক বলা হয় । এই গোপন ব্যাধির শিকার হয়ে অনেক নারীকে মৃত্যুর সাথে লড়তে হয়। বিশ্বে প্রতি ৮ জনের মধ্যে একজন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। পরিসংখ্যানটি আসলেই ভয়াবহ এবং প্রতি ৩৬ জন আক্রান্ত নারীর মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা একজনের।
স্তন ক্যান্সার আসলে এক ধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার, যেটি স্তনের কোষগুলো থেকে শুরু হয়।আর এই ম্যালিগন্যান্ট টিউমারটি হওয়ার কারণ কী, যা রূপ নেয় স্তন ক্যান্সারে, তা জানা জরুরি। তবে একাধিক কারণকে স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেই কারণগুলো—
১) ৩০ বছর বয়সের পরে যারা প্রথম মা হয়েছেন, তাদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা একজন কমবয়সী মা হওয়া নারীর থেকে অনেক বেশি থাকে।
২) অতিরিক্ত মদ্যপান মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। স্তন ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পেতে, অবশ্যই মদ্যপান ত্যাগ করা প্রয়োজন।
৩) অবিবাহিতা, সন্তানহীনা নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি থাকে।
৪) একইভাবে যারা সন্তানকে কখনো বুকের দুধ পান করাননি তাদের স্তন ক্যান্সার বেশি হয়।
৫) অল্প বয়সে বাচ্চা নিলে, দেরিতে পিরিয়ড শুরু হলে, তাড়াতাড়ি পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেড়ে যায়।
৬) একাধারে অনেক দিন জন্ম নিরোধ পিল খেলেও স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৭) মা-খালাদের থাকলে সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৮) অস্বাস্থ্যকর ডায়েট স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
স্তন ক্যান্সারের লক্ষণঃ
১) বেশিরভাগ রোগী বুকে চাকা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।
২) বুকে চাকা সেই সাথে কিছু কিছু রোগী ব্যথার কথাও বলে থাকে।
৩) স্তনের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন হয়।
৪) স্তনের নিপল ভিতরের দিকে ঢুকে যায়।
৫) স্তনের বোঁটার চামড়া উঠতে থাকে।
৬) অনেক সময় যে বুকে ব্যথা সেদিকের হাত ফোলা নিয়েও আসতে পারে।
৭) এগুলো ছাড়াও স্তন ক্যানসার শরীরের অন্য অংশে কোথাও ছড়িয়ে পড়েছে এমন উপসর্গ নিয়ে আসে যেমন: হাড়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জন্ডিস ইত্যাদি।
স্তন ক্যান্সারের লক্ষণঃ
১) বেশিরভাগ রোগী বুকে চাকা নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।
২) বুকে চাকা সেই সাথে কিছু কিছু রোগী ব্যথার কথাও বলে থাকে।
৩) স্তনের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন হয়।
৪) স্তনের নিপল ভিতরের দিকে ঢুকে যায়।
৫) স্তনের বোঁটার চামড়া উঠতে থাকে।
৬) অনেক সময় যে বুকে ব্যথা সেদিকের হাত ফোলা নিয়েও আসতে পারে।
৭) এগুলো ছাড়াও স্তন ক্যানসার শরীরের অন্য অংশে কোথাও ছড়িয়ে পড়েছে এমন উপসর্গ নিয়ে আসে যেমন: হাড়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জন্ডিস ইত্যাদি।
 কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারেঃ
*মেমোগ্রাম (Mammogram) বা স্তনের এক্স-রে
*ব্রেস্ট আলট্রাসাউন্ড (Breast ultrasound)
*ব্রেস্ট ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমাজিং (Breast magnetic resonance imaging, (MRI))
*বায়োপসি (Biopsy)
*রক্তের পরীক্ষা
*বুকের এক্স-রে
*কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফী স্ক্যান (Computerized
tomography (CT) scan)
*পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফী স্ক্যান (Positron emission tomography (PET) scan)
স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসাঃ
স্তন ক্যান্সোরের চিকিৎসা নির্ভর করে স্তন ক্যান্সারের ধরণের উপর, ক্যান্সারের কোষগুলো হরমোণ সংবেদনশীল কিনা তার উপর। সম্ভব হলে সার্জারি করাই উত্তম। তাছাড়া কেমোথেরাপি, রেডিও থেরাপি, হরমোন থেরাপি ইত্যাদি।
 মনে রাখবেন প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নিরূপণ করলে এবং চিকিৎসা করলে আপনি অনেক দিন সুস্থ থাকবেন। সার্জারি করার সময় টিউমারটি বগলে লসিকা গ্রন্থিসহ অপসারণ করলে এই রোগ আবার দেখা দেয়ার সম্ভাবনা খুব কম। অসম্পূর্ণভাবে টিউমার অপসারণ করলে এই রোগ আবার হতে পারে। বর্তমানে এই সার্জারি টেকনোলজি অনেক উন্নতি লাভ করেছে যার ফলে এই রোগের চিকিৎসা খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। যদিও নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বেশি হয়। তবে সংখ্যায় কম হলেও পুরুষরাও কিন্তু এই রোগের ঝুঁকিমুক্ত নয়।
 ভারতে চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো ধরণের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন।(মেডিকেল ভিসা , ডাক্তার এর এপয়েন্টমেন্ট, সেকেন্ড ওপিনিয়ন) 

Thursday, February 7, 2019

সার্ভিক্যাল ক্যানসারঃ

শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীতেই সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত মহিলাদের সংখ্যা প্রচুর। যোনি থেকে রক্তপাত বা অস্বাভাবিক ডিসচার্জ এই ক্যানসারের লক্ষণ। কীভাবে বুঝবেন আর কীসেই বা প্রতিকার হবে, জেনে নিন।
সার্ভিক্স হল ইউটেরাসের তলার অংশ যা যোনির সঙ্গে সংযুক্ত।এই অংশে ক্যানসারের কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস বা এইচপিভি। এই ভাইরাসটি যৌন সংসর্গ থেকেই ছড়ায়। বিভিন্ন ধরনের এইচপিভি ভাইরাস রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ ধরনের কিছু ভাইরাস থেকেই হয় সার্ভিক্যাল ক্যানসার। অনেক সময় এইচপিভি সংক্রমণ আপনা থেকেই সেরে যায়। আবার অনেক সময়েই তা ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভারতে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৭৪ হাজার মহিলা মারা যান এই ক্যানসারে।
কী দেখে বুঝবেনঃ
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সহজেই সেরে যায় তবে এই ক্যানসার অনেক দেরি হয়ে গেলে এবং যদি দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে তবে তা মৃত্যু অনিবার্য হয়ে যায়। নীচের যে কোনও একটি লক্ষণ দেখলেই ‘প্যাপ‌্‌সমিয়ার’ পরীক্ষা করাবেন—
১) তলপেটে বা পেলভিসে যদি ধারাবাহিকভাবে যন্ত্রণা হতে থাকে।
২) সঙ্গম করার পর বা দু’টি মেনস্ট্রুয়াল সাইকলের মধ্যবর্তী সময়ে বা মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পরেও যদি যোনি থেকে রক্তপাত হয়।
৩) যোনি থেকে যদি এমন কিছু ডিসচার্জ হয় যা স্বাভাবিক নয়।
৪) সঙ্গম করার সময় যদি যন্ত্রণা হয়।
প্যাপস্‌মিয়ার পরীক্ষাটি কোনও ভাল হসপিটাল থেকে করানোই ভাল কারণ এই পরীক্ষার জন্য যোনির ভিতরের, সার্ভিক্সের মুখ থেকে ‘ফ্লুইড’-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই নমুনা পরীক্ষা করে ক্যানসারের লক্ষণ পেলে চিকিৎসকেরা আরও অন্যান্য পরীক্ষা করান বা বায়োপসি করতে বলেন। এই নমুনা সং‌গ্রহ করার প্রক্রিয়াটি কোনও গায়নোকলজিস্টের তত্ত্বাবধানেই করা উচিত। ৩০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের সাধারণত বছরে দু’বার এই পরীক্ষা করা ভাল। নাহলে বছরে অন্তত একবার অবশ্যই এই পরীক্ষা করা উচিত, কোনও লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক। এইচপিকভি ভাইরাস এমনই যে অনেক সময়ে কোনও লক্ষণই থাকে না অথচ শরীরে বাসা করে ফেলে সার্ভিক্যাল ক্যানসার।

 ভারতে চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো ধরণের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন।(মেডিকেল ভিসা , ডাক্তার এর এপয়েন্টমেন্ট, সেকেন্ড ওপিনিয়ন)


Tuesday, February 5, 2019

কিডনি রোগ নিয়ে কিছু ভুল ধারণাঃ

কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম একটি অঙ্গ। কিডনি আমদের শরীরের অনেক কাজ করে। তবে মূল যে সমস্ত কাজগুলো করে তা হলো গোটা শরীরের পি-এইচ। অর্থাৎ অম্ল ও ক্ষারের মাত্রার একটা ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য বের করে দেয়।কিডনি রোগের চিকিৎসা নিয়ে অনেকেরই কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। স্বল্প পরিসরে সেগুলো উল্লেখ করা হলো। 
    
১। ভুল ধারণাঃ ডায়ালাইসিস একবার শুরু করলে তা স্থায়ীভাবে করতে হবে। সঠিক ধারণাঃ ডায়ালাইসিস হচ্ছে রক্ত পরিশোধনের একটি আধুনিকতম প্রক্রিয়া। কিডনি অতিমাত্রায় বিকল হলে এটি করতে হয়। যখন ডায়ালাইসিস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তখন রোগীর চিকিৎসার জন্য কিডনি সংস্থাপন ছাড়া অন্য কোনো উপায় আর হাতে থাকে না। এ অবস্থায় রোগীকে বাঁচানোর জন্য ডায়ালাইসিস করা হয়। কাজেই ডায়ালাইসিস করা শুরু করলে পরবর্তীতে সেটি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আর তখন ডায়ালাইসিস না করা মানে অকালে মৃত্যুর প্রহর গোনা। কাজেই এখানে ডায়ালাইসিস শুরু করার মধ্যে কোনো ভুল নেই। তবে হঠাৎ কিডনি বিকল হলে তখন যদি কারো ডায়ালাইসিস লাগে সেটি হবে সাময়িক। কিডনি সঠিকভাবে কাজ শুরু করার পর আর তা করার দরকার পড়ে না।
২। ভুল ধারণাঃ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেই কিডনি নিয়ে আর কোনো দায়িত্ব নেই। সঠিক ধারণাঃ অনেকেরই ধারণা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পর রোগীর সুস্থ জীবনযাপনে আর কোনো বাধা নেই। আসলে এ ধারণা একদম সঠিক নয়। কারণ কিডনি সংস্থাপনের পর কিডনিটি যাতে শরীরের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে অর্থাৎ কিডনিটি যাতে শরীর থেকে বিয়োজিত হয়ে না যায় সেজন্য রোগীকে সারাজীবন বিশেষ কিছু ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। এই ওষুধ গ্রহণ করা অনেকেরই সামর্থ্যের বাইরে থাকে। এছাড়া রোগীর যাতে সহসা কোনো ইনফেকশন না হয় সেজন্য রোগ জীবাণু থেকে দূরে থাকতে হবে। এগুলো না বুঝলে সংযোজিত কিডনিকে শরীর ত্যাগ করতে পারে।
৩। ভুল ধারণাঃ কিডনি পাথরের সঙ্গে কিছু খাবারের সম্পর্ক রয়েছে। সঠিক ধারণাঃ সব সময়ে এটি হয় না। যাদের কিডনিতে পাথর হওযার প্রবণতা রয়েছে তাদের বেলায় এটি কিছুটা প্রযোজ্য। তবে সুস্থ স্বাভাবিক লোকের বেলায় নয়। এ বিষয়ে আমেরিকার একজন কিডনি বিশেষজ্ঞের অভিমত হলো, যারা অতিরিক্ত আমিষ গ্রহণ করেন তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। কারণ বাড়তি আমিষের কারণে শরীর থেকে বাড়তি ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়। ফলে প্রস্রাবে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি ঘটে। যা কিডনি পাথর তৈরিতে সহায়ক। আবার অনেকের ধারণা যেহেতু বেশিরভাগ কিডনি পাথরই ক্যালসিয়ামের তৈরি তাই ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার কম খেলে কিডনিতে পাথর হবে না। সাম্প্রতিক গবেষণায় এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম ক্যালসিয়াম শরীরে অন্যান্য বিপর্যয় ডেকে আনে। তাই স্বাভাবিক মাত্রার ক্যালসিয়াম খেতে হবে। কম ক্যালসিয়াম খাওয়ার চেয়ে স্বাভাবিক মাত্রার ক্যালসিয়াম গ্রহণই ভালো। তবে যাদের ইতিমধ্যে কিডনিতে পাথর আছে তারা কম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু সুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে কম ক্যালসিয়াম গ্রহণ কখনোই কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা কমায় না।
৪। ভুল ধারণাঃ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট মানে কিডনি প্রতিস্থাপন। সঠিক ধারণাঃ অনেকেরই ধরণা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট মানে আক্রান্ত কিডনিকে ফেলে দিয়ে সেখানে নতুন একটি কিডনি জুড়ে দেয়া বা প্রতিস্থাপন করা। আসলে বিষয়টি তা নয়। কিডনি বিকল হওয়া রোগীকে যখন কিডনি সংস্থাপনের সময় বিকল কিডনিকে আগের স্থানেই রেখে দেয়া হয়। বিকল কিডনি দুটির সঙ্গে নতুন সুস্থ একটি কিডনিকে জুড়ে দেয়ার বিষয়টিই হচ্ছে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বা কিডনি সংস্থাপন। বিকল কিডনিকে ফেলে দেয়ার ঘটনা খুবই বিরল।

৫। ভুল ধারণাঃ কিডনিতে পাথর হওয়ার বিষয়টি বিরল ঘটনা। সঠিক ধারণাঃ কিডনিতে পাথর কোনো বিরল ঘটনা নয়। এটি কিডনির সবচেয়ে সচরাচর ঘটনা। আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ এন্ড কিডনি ডিজিজেসের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রায় ১০ ভাগ আমেরিকান তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যাদের বয়স ২০-৪০ বছরের মধ্যে।
৬। ভুল ধারণাঃ বেশি পানি পান করলে কিডনি রোগী ভালো থাকে। সঠিক ধারণাঃ কিডনির জন্য কখনোই অতিরিক্ত পানি ভালো নয়। পর্যাপ্ত পানি গ্রহণই হচ্ছে সঠিক কাজ। শুধুমাত্র কিডনিতে খুবই ছোট কোন পাথর থাকলে তখন সেটিকে পানি প্রবাহের তোড়ে বের করে আনার জন্য একটু বাড়তি পানিপান করতে বলা হয়। কিন্তু কিডনি রোগ হলে বরং পানি পানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে তখন কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে পানি পান করাই শ্রেয়

৭। ভুল ধারণাঃ কিডনি বিকল মানে একটি বা দুটি কিডনি বিকল। সঠিক ধারণাঃ কিডনি রোগে একটি কিডনি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুবই কম। বিশেষ করে কিডনি বিকল বলতে দুটি কিডনিই বিকল বোঝায়। কারণ যখন একটি কিডনি বিকল হয় তখন শরীরের তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেও কোনো তারতম্য ধরা পড়ে না। শরীরে যখন কিডনি রোগের উপসর্গ ধরা পড়ে তখন দুটি কিডনিই আক্রান্ত হয়েছে বলে বুঝতে হবে। বিশেষ করে কিডনি বিকলের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সত্য।
৮। ভুল ধারণাঃ বিয়ার খাওয়া কিডনির জন্য ভালো। সঠিক ধারণাঃ বিয়ার খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে কিন্তু তাতে বিকল কিডনির কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে এই পদ্ধতি কোনো কাজে আসবে না। আর বিয়ার খেয়ে প্রস্রাব বাড়ানোর মাধ্যমে কিডনির কার্যকারিতাকে বাড়ানো সম্ভব নয়।
৯। ভুল ধারণাঃকিডনি দান করা নিরাপদ নয়। সঠিক ধারণাঃ ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত নয় এমন ব্যক্তি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে তার জন্য কিডনি দান কোনো ঝুঁকির বিষয় নয়।
১০। ভুল ধারণাঃকিডনি রোগ বংশগত। সঠিক ধারণাঃ পলিসিসটিক কিডনি ডিজিজের মতো অল্প কিছু কিডনি রোগ রয়েছে যা বংশগত কারণে হয়ে থাকে বলে জানা যায়। অধিকাংশ কিডনি রোগই বংশগত নয়।

 ভারতে চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো ধরণের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন।(মেডিকেল ভিসা, ডাক্তার এর এপয়েন্টমেন্ট, সেকেন্ড ওপিনিয়ন)