Thursday, February 7, 2019

সার্ভিক্যাল ক্যানসারঃ

শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীতেই সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত মহিলাদের সংখ্যা প্রচুর। যোনি থেকে রক্তপাত বা অস্বাভাবিক ডিসচার্জ এই ক্যানসারের লক্ষণ। কীভাবে বুঝবেন আর কীসেই বা প্রতিকার হবে, জেনে নিন।
সার্ভিক্স হল ইউটেরাসের তলার অংশ যা যোনির সঙ্গে সংযুক্ত।এই অংশে ক্যানসারের কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস বা এইচপিভি। এই ভাইরাসটি যৌন সংসর্গ থেকেই ছড়ায়। বিভিন্ন ধরনের এইচপিভি ভাইরাস রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ ধরনের কিছু ভাইরাস থেকেই হয় সার্ভিক্যাল ক্যানসার। অনেক সময় এইচপিভি সংক্রমণ আপনা থেকেই সেরে যায়। আবার অনেক সময়েই তা ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভারতে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৭৪ হাজার মহিলা মারা যান এই ক্যানসারে।
কী দেখে বুঝবেনঃ
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সহজেই সেরে যায় তবে এই ক্যানসার অনেক দেরি হয়ে গেলে এবং যদি দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে তবে তা মৃত্যু অনিবার্য হয়ে যায়। নীচের যে কোনও একটি লক্ষণ দেখলেই ‘প্যাপ‌্‌সমিয়ার’ পরীক্ষা করাবেন—
১) তলপেটে বা পেলভিসে যদি ধারাবাহিকভাবে যন্ত্রণা হতে থাকে।
২) সঙ্গম করার পর বা দু’টি মেনস্ট্রুয়াল সাইকলের মধ্যবর্তী সময়ে বা মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পরেও যদি যোনি থেকে রক্তপাত হয়।
৩) যোনি থেকে যদি এমন কিছু ডিসচার্জ হয় যা স্বাভাবিক নয়।
৪) সঙ্গম করার সময় যদি যন্ত্রণা হয়।
প্যাপস্‌মিয়ার পরীক্ষাটি কোনও ভাল হসপিটাল থেকে করানোই ভাল কারণ এই পরীক্ষার জন্য যোনির ভিতরের, সার্ভিক্সের মুখ থেকে ‘ফ্লুইড’-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই নমুনা পরীক্ষা করে ক্যানসারের লক্ষণ পেলে চিকিৎসকেরা আরও অন্যান্য পরীক্ষা করান বা বায়োপসি করতে বলেন। এই নমুনা সং‌গ্রহ করার প্রক্রিয়াটি কোনও গায়নোকলজিস্টের তত্ত্বাবধানেই করা উচিত। ৩০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের সাধারণত বছরে দু’বার এই পরীক্ষা করা ভাল। নাহলে বছরে অন্তত একবার অবশ্যই এই পরীক্ষা করা উচিত, কোনও লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক। এইচপিকভি ভাইরাস এমনই যে অনেক সময়ে কোনও লক্ষণই থাকে না অথচ শরীরে বাসা করে ফেলে সার্ভিক্যাল ক্যানসার।

 ভারতে চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো ধরণের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন।(মেডিকেল ভিসা , ডাক্তার এর এপয়েন্টমেন্ট, সেকেন্ড ওপিনিয়ন)


No comments:

Post a Comment