Wednesday, March 13, 2019

পারকিনসন রোগঃ


পারকিনসন রোগ হল এক প্রকারের স্নায়ু-অধঃপতনজনিত (নিউরো-ডিজেনারাটিভ) রোগ। রোগটি বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন- পারকিনসোনিজমশেকিং পালসি, প্যারালাইসিস এজিট্যান্স। এ রোগটি সবচেয়ে পরিচিত নিউরো-ডিজেনারাটিভ নামে তবে এর বেশির ভাগ কারণই অজানা।

🔀  কাদের হয়ে থাকে এই রোগ ?

পঞ্চাশ এর অধিক বয়স এর লোকেদের সাধারনত হয়ে থাকে। মুখ দিয়ে লালা পড়া, মুখ-অবয়ব, ছোট পদক্ষেপে দ্রুত লয়ে হাঁটা, হাঁটা বা চলাচল শুরু করতে দেরি হওয়া, হাঁটার সময় হাত না নড়া, হাঁটতে হাঁটতে ঘুরতে গেলে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা, মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, সবসময় হাত-পা কাঁপা, ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত হতে পারেন একজন পারকিনসন রোগী।

🔀 উপসর্গ ও লক্ষণঃ

শরীরে দুর্বলতা বিভ্রান্তি এবং স্মৃতিশক্তির বিলোপ, মাথায় কিংবা হাতে বা চোখের পাতায় কম্পন অনুভুত হওয়া, ভারসাম্য রক্ষায় অপারদর্শিতা, পেশির অনমনীয়তা ভাব, ধীরগতির চলাফেরা, বিশ্রামের সময় মাথায় কিংবা হাতে মৃদু কম্পন অনুভব করা, বিষাদগ্রস্ত ইত্যাদি লক্ষণগুলোই পারকিনসন রোগের প্রধান উপসর্গ। এসব লক্ষণ দেখা মাত্রই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
🔀 কিভাবে এই রোগ নির্ণয় করবেনঃ

১) সিটিস্ক্যান
২) রক্তের কিছু পরীক্ষা। 

🔀 চিকিৎসাঃ

যদিও পারকিনসন রোগের বিশেষ কোন প্রতিকার নেই। তবে ইলেকট্রোথেরাপি, স্পিচ থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমে পুনর্বাসন করাই হল চিকিৎসার মূল লক্ষ্য।

⧭ রোগের লক্ষণ কমানোর জন্য কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়।

⧭ পারকিনসন রোগের জন্য  DEEP BRAIN STIMULATION  সার্জারি করা যায়।

⧭ ওষুধ সেবন এবং পাশাপাশি লাইফস্টাইলেও পরিবর্তন রোগীর  উন্নতিতে সাহায্য করে।


* পারকিনসন রোগে আক্রান্তদের পুষ্টিকর সুষম খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফলমূল থাকতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

* পারকিনসন রোগে আক্রান্তরা অনেক সময় হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে পড়ে গিয়ে শরীরের হাড় ভেঙে যায়। এর জন্য সচেতন থাকতে হবে এবং হাঁটা-চলার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। হাটার সময় বেশি কিছু বহন করবেন না। ঢিলে কম বোতাম যুক্ত পোশাক পরুন।


No comments:

Post a Comment