লিউকেমিয়া কি?
লিউকেমিয়া হল ক্লোনাল ম্যালিগন্যান্ট ডিজিজ যা ব্লাড স্টিম সেলের অস্বাভাবিক বিভাজনের ফলে হয়। রক্তের অসংখ্য শ্বেত কনিকা যা পুনরায় বিভাজনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে এবং কোষ বিভাজনের একটি ভিন্ন স্টেজে অবস্থান করে সেগুলো বোন ম্যারো এবং অন্যান্য রক্ত উৎপাদনকারী টিস্যুতে গিয়ে জমা হয়। এই অস্বাভাবিক টিস্যুগুলো অন্যান্য প্রত্যঙ্গের টিস্যুগুলোতে ছড়িয়ে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে অস্বাভাবিক টিস্যু উৎপন্ন করে ফলে সার্বিক রক্ত উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।এ কারনেই লিউকেমিয়ার রোগীদের রক্ত শূন্যতা, হেমারেজ, ও ইনফেকশনের মত লক্ষণ দেখা দেয়।
রোগের কারণঃ
এই রোগের আসল কারণ এখনও অজানা। তবে নিম্নলিখিত কারণগুলোকে দায়ী করা হয়-
১) রেডিয়েশন, রঞ্জনরশ্মি।আধুনিক বিশ্বে বিভিন্ন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যাপক প্রসারে লিউকেমিয়া রোগটি বেশি হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর জাপানিদের মধ্যে এই রোগ খুব বেড়ে যায়।
২) বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল যেমন-বেনজিন নিয়ে যারা কাজ করে।
৩) কিছু কিছু ভাইরাসকে এই রোগের জন্য দায়ী করা হয়।
৪) সাইটোটক্সিক ড্রাগ- ক্যান্সারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহারের ফলে এই রোগ হতে পারে।
রোগের লক্ষণসমূহঃ
১) প্লীহার আকার বৃদ্ধির ফলে রোগী পেটে ভার বোধ করে। এছাড়া ঘটনাক্রমে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি ধরা পড়ে।
২) লিউকেমিয়ার রোগীরা সাধারণত দুর্বলতা, রাতে ঘামানো, হালকা জ্বর নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকে।এ সকল উপসর্গ অতিরিক্ত শ্বেত কণিকা তৈরি হওয়ার কারণে হয়ে থাকে।
৩) কিছু ক্ষেত্রে রোগীর শ্বাসকষ্ট ও ঝাপসা দৃষ্টির সমস্যা হয়। এ রোগের মাত্রা বৃদ্ধি (একসিলারেটেড পর্যায়ে) পেলে জ্বর হয় তবে সংক্রমণ, অস্থিতে ব্যথা বা প্লীহার বৃদ্ধি হয়।
চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
লিউকেমিয়ার চিকিতসার মধ্যে রয়েছে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ইত্যাদি। অবস্থাভেদে কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে বোনম্যারো প্রতিস্থাপনেরও দরকার হতে পারে। 



No comments:
Post a Comment