থাইরয়েড টিউমার অপারেশনঃ
থাইরয়েড ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যা সময়মতো চিকিৎসা করলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা যায়। ক্যান্সার শনাক্ত হলে বা ক্যান্সার আছে এমন সন্দেহ হলে অতিদ্রুত নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ বা গলার অপারেশনে পারদর্শী কোনো সার্জনের কাছে যেতে হবে। থাইরয়েড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন বা সার্জারি করা। আক্রান্তের ধরনের ওপর নির্ভর করবে থাইরয়েড গ্রন্থির কতটুকু কাটতে হবে। অনেক সময় পুরো থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। একে বলে টোটাল থাইরয়েডেকটমি।
কিডনির পাথর অপারেশনঃ
কিডনির যেসব রোগ বের করা গেছে তার মধ্যে পাথর একটি পুরনো রোগ। পাথরগুলো কেবল কিডনিতে নয়, এর বিভিন্ন অংশে হতে পারে। কিডনিতে হতে পারে। কিডনির ভেতর থেকে বের হওয়া বৃক্ক নালীতে হতে পারে, প্রস্রাবের থলেতে হতে পারে এবং থলের থেকে বের হয়ে অনেক সময় পাথর মূত্রনালিতে আটকা পড়ে।আর যদি প্রস্রাবের নালিতে বা থলেতে পাথর থাকে তবে অবশ্যই সেটা টিউব দিয়ে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বের করে আনা হয়। এভাবে বেশিরভাগ সময় অপারেশনের দরকার পড়ে না। আর যদিও দরকার পড়ে তবে লেপারোস্কোপি করে পেটে ছোট তিনটি ছিদ্র করে বের করে দেওয়া হয়।
ফিস্টুলা ও পাইলস অপারেশনঃ
পায়ুপথের রোগের মধ্যে সাধারণ কয়েকটি নাম হল পাইলস, ফিসার, ফিস্টুলা ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি রোগ বারবার হওয়ার প্রবণতা থাকে ফিস্টুলা। এটি একবার অপারেশন করলে আবার হতে পারে তবে পাইলসে সেটা নয়।
পাইলসের অপারেশন একবার করলে বারবার করতে হয় না। সঠিক ও যথাযথভাবে এ রোগের অপারেশন হলে এবং অপারেশন-পরবর্তী নিয়ম-কানুন মেনে চললে আবার পাইলস হওয়ার আশঙ্কাই নেই। রোগীরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।
মূত্র থলির পাথর অপারেশনঃ
মূত্রনালী ছোট্ট পাথর ৪ মিলিমিটারের নিচে হলে সাধারণত প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায় ঐ সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পাথর বড় হলে বা মূত্রনালী সমপূর্ণ রূপে বন্ধ হলে দ্রুত অপারেশন প্রয়োজন। একদিকের নল বন্ধ হলে সাধারণত শরীরের ক্রিয়েটিনিন বাড়বে না, কিন্তু সে ক্ষেত্রে পাথরজনিত কিডনিটি ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পরে। যন্ত্রের মাধ্যমে (আইসিপিএল) লেজার, ল্যাপারোস কপিক বা কেটে অপারেশন করা যায়। কিভাবে অপারেশন হবে তা নির্ভর করছে কিডনির নলের পাথর কত মিলিমিটার বা সেন্টিমিটার এবং রোগীর বয়সের ওপর।
পিত্তথলির পাথর অপারেশনঃ
পিত্তথলিতে পাথর হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই (প্রায় ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই) ধরা পরে রুটিন কোনো চেকআপের সময়। সাধারণত ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে পেটের এক্স-রে'তে এবং প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় পিত্তথলির পাথর ধরা পড়ে। পিত্তথলির পাথর চিকিৎসার প্রধান উপায় হলো অপারেশন। তা পেট কেটে অপারেশনই হোক আর লেপারেস্কোপিক অপারেশনই হোক না কেন। এভাবে অনেকে হঠাৎ নিজের পিত্তথলিতে পাথর জেনে এবং যেহেতু কোনো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না, তাই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, অপারেশন করাবেন কি করাবেন না।
এ অবস্থায় অপারেশন না করালে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এ অবস্থায় অপারেশন না করালে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।






No comments:
Post a Comment