লিভার ক্যান্সারঃ
ক্যান্সার মানেই আমাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক থেকে যায়।বিশ্বব্যাপি লিভার ক্যান্সারের মূল কারণ হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস আর অ্যালকোহল।হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ থেকে ১০ শতাংশ লোক জীবনের কোন এক পর্যায়ে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
লিভার ক্যান্সারের লক্ষণঃ
এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য কোনো নিদিষ্ট বয়েসের প্রয়োজন হয়না।ক্যান্সার হওয়ার আগে লিভারে সিরোসিস দেখা দেয়, তবে এর ব্যতিক্রম হওয়াটাও অস্বাভাবিক না। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা প্রায়ই সময় পেটের ডান পাশে উপরের দিকে অথবা বুকের ঠিক নীচে মাঝ বরাবর ব্যথা অনুভব করেন যার প্রবলতা রোগী ভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।হালকা জ্বর জ্বর ভাব, ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এ রোগের অন্যতম লক্ষন।রোগীর গ্যাস, খাওয়ায় অরুচি, কিংবা মল ত্যাগের উপসর্গ থাকতে পারে। পেটে পানি থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।আবার কখনও ডাইরিয়াও দেখা দিতে পারে।
লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসা ও করণীয়ঃ
লিভার ক্যান্সার নির্ণয়ে সহজ উপায় হল আল্ট্রাসনোগ্রাম। তবে কখনো কখনো সিটি-স্ক্যানেরও প্রয়োজন হয়। রক্তের AFP পরীক্ষাটি লিভার ক্যান্সারের একটি মোটামুটি নির্ভরযোগ্য টিউমার মার্কার। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত যে কোন ব্যক্তিরই উচিত প্রতি ৬ মাসে একবার AFP ও আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করা। তবে লিভার ক্যান্সারের ডায়াগনোসিস কনফার্ম করতে হলে আল্ট্রাসনোগ্রাম গাইডেড FNAC অত্যন্ত জরুরি। শুরুতে ধরা পরলে আর আকারে ছোট থাকলে অপারেশনের মাধ্যমে এই টিউমার লিভার থেকে কেটে বাদ দেয়া যায়। আর এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন।লিভার ক্যান্সারের রোগীদের চিকিৎসা এদেশে নিয়মিত হচ্ছে।আমরা ভারতের সেরা হাসপাতাল গুলির দক্ষ হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন দ্বারা চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিচালনা করি।কোনো রকম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।



No comments:
Post a Comment