লিভার বা যকৃত আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বাহির করে দেয় ।যার জন্য এই অঙ্গটিতে ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে। তাই লিভার ডিজিজ বা হেপাটাইটিস প্রতিরোধের জন্য লিভারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা জরুরী। লিভার কখন কিভাবে নষ্ট হয় তা জানতে পারলে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে বাঁচানো সম্ভব।আসুন জেনে নেওয়া যাক কখন আমাদের লিভার নষ্ট হয়।
চোখের বিবর্ণতাঃ
পেট ব্যথা ও ফুলে যাওয়াঃ
আমাদের পেটের উপরের দিকের ডানপাশে যকৃত বা লিভার অবস্থিত। শরীরের এই অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে তা লিভার ড্যামেজের লক্ষণ।এটি পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয় যা লিভার ফুলে যাওয়াকে নির্দেশ করে। এই রকম লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
পা ফুলে যাওয়াঃ
লিভার ড্যামেজে পা ফুলে যেতে পারে এবং এই সমস্যাটির বিষয়ে অনেকেই সচেতন থাকে না। যকৃত যদি ঠিক ভাবে বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বাহির করে দিতে না পারে তাহলে সেগুলো শরীরে জমতে থাকে এবং রক্ত প্রবাহকে বাঁধা দেয়। এই বিষাক্ত পদার্থ গুলো শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হয় এবং এদের বেশিরভাগই জমা হয় পায়ে। এর ফলশ্রুতিতেই পা ফুলে যায়।
ক্ষুধামন্দাঃ
লিভার সমস্যার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ক্ষুধা কমে যাওয়া। লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হলে দেহে টক্সিক উপাদানের সঞ্চয় হতে থাকে। যার ফলে ক্ষুধা কমে যায়। এছাড়াও এর ফলে ভিটামিন ও মিনারেলের শোষণ বাধাগ্রস্থ হয়। পরিণতিতে দুর্বলতা ও অবসাদগ্রস্থ হতে দেখা যায়।
বমিঃ
লিভার নষ্টের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া। লিভাবের বিষাক্ততার জন্যই বদহজম ও পেটের সমস্যা হয়। যার ফলশ্রুতিতে ক্রমাগত বমি হয়। যদি কোন কিছু খাওয়ার বা পান করার সাথে সাথে বমি বমি ভাব হয় বা বমি হয় তাহলে তাকে বুঝতে হবে ডাক্তার দেখানো জরুরি।
জন্ডিস বা হেপাটাইটিসের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া। বিশেষ করে সকালে চোখের বিবর্ণতা দেখা গেলে তা লিভার নষ্টের লক্ষণ বুঝায়। তাই চোখের কোন পরিবর্তন গুরুত্ব সহকারে নেয়া প্রয়োজন। কারণ এর দ্বারা বোঝা যায় আপনার যকৃত ঠিকভাবে কাজ করছেনা।





No comments:
Post a Comment