Friday, March 8, 2019

হার্টের রিং কিভাবে পরানো হয় ?

** হার্টে ব্লক হওয়া মানে মূলত হার্টের রক্তনালীগুলোর মধ্যে চর্বি জমে গিয়ে রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ হওয়াকে বুঝায় l রিং পরানো মানে ঐ ব্লক হওয়া নালিকার মধ্যে দিয়ে রক্ত প্রবাহের একটা রাস্তা করে দেওয়া।
** হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণ কী?

হৃদযন্ত্র রক্ত সরবরাহ করে করোনারি ধমনির মাধ্যমে। করোনারি ধমনিতে চর্বি জমে গেলে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। করোনারি ধমনির আংশিক ব্লক হলে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। আবার পুরো ব্লক হলে হৃদযন্ত্রের পেশিগুলোর মৃত্যু হয়। এ ব্লকের সময়কাল যদি ২০ থেকে ৩০ মিনিট হয়, তা হলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।
a) এনজিওগ্রামঃ  এক্স-রে’র মাধ্যমে শরীরের মধ্যে ধমনীর অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অংশ কে দেখা কে করোনারি এনজিওগ্রাম বলা হয়, এ ক্ষেত্রে ধমনীর মধ্যে একধরণের রঞ্জক পদার্থ প্রবেশ করানো হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এনজিওগ্রাম করা হয়, যেমন 
.
১। হার্টে করনারি এনজিওগ্রাম, 
২। মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে সেরিব্রাল এনজিওগ্রাম, 
৩। পায়ে পিএজি বা পেরিফেরাল এনজিওগ্রাম, 
৪। কিডনিতে রেনাল এনজিওগ্রাম। 
.
b) করনারি এনজিওগ্রামঃ  করনারি আর্টারির মধ্যে কতগুলো ব্লক আছে বা ব্লকগুলোর অবস্থান কোথায় বা কত পার্সেন্ট ব্লক আছে।এজন্য পায়ের মোটা ধমনি বা হাতের ধমনিতে ক্যাথেটার (সরু প্লাস্টিক টিউব) ঢোকানো হয় চামড়ার নিচে দিয়ে। 

c) এনজিওপ্লাস্টিঃ  এ পদ্ধতিতে রক্তনালির মধ্যের চর্বি জমে সরু হয়ে যাওয়া পথ প্রশস্ত বা ঢিলা করে দেয়া হয়। যে পথে এনজিওগ্রাম করা হয়েছিল সেই একই পথে ক্যাথেটারের সঙ্গে বেলুন প্রবেশ করানো হয়। তারপর ওই বেলুন ফুলিয়ে করনারি ধমনির সরু অংশকে প্রশস্ত করা হয়। এতে করে ধমনির ভেতরের রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিক হয়। ধমনির এ প্রশস্ততা ধরে রাখতে স্টেন বা রিং বসানো হয়। ব্লক ৭০ শতাংশের বেশি তাহলে সেখানে এনজিওপ্লাস্টি বা বেলুনিংয়ের মাধ্যমে স্টেন বা রিং প্রতিস্থাপন করা হয়।
.
.
d) স্টেনটিং বা রিং পরানোঃ  এনজিওপ্লাস্টির পর ওই জায়গার প্রশস্ততা ধরে রাখতে ওই স্থানে রিং বসানোকে স্টেনটিং বলে। স্টেনটিং বা রিং পরানোর পরও ওই জায়গায় আবারও চর্বি জমতে পারে। তাই পরবর্তী সময়ে রক্তের চর্বি কমার ওষুধ, রক্ত জমাট না বাঁধার ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ মতো খেয়ে যেতে হয়। 

* দুই ধরনের স্টেন বা রিং লাগানো হয়ে থাকে...

১। ড্রাগ এলুটিং স্টেন এবং 
২। মেটাল স্টেন।
.
** স্টেন বা রিং এর মূল্যঃ 
.
a) বাংলাদেশে হার্টের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় করোনারি স্টেন্ট বা রিংয়ের মূল্য ২৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা অবধি হতে পারে সরকারী নির্দেশিকা অনুযায়ী।
.
b) ভারতে একটি বেয়ার মেটাল স্টেন্টের দাম ১০ হাজার এর কাছাকাছি হয়ে থাকে (বাংলাদেশি টাকায় যা ১২ হাজার)। অন্যদিকে ড্রাগ ইলিউটিং স্টেন্টের দাম ভারতে ৩০-৪০ হাজার টাকা (বাংলাদেশি টাকায় যা ৩৬-৪৮ হাজার)। ভারতে বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠান স্টেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আর বাংলাদেশ পুরোটাই আমদানি নির্ভর। 

No comments:

Post a Comment