Wednesday, March 6, 2019

হাঁটু প্রতিস্থাপন বা KNEE REPLACEMENT SURGERY:

হাঁটু হল মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় অস্থিসন্ধি। এটি দাঁড়ানো থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। হাটু প্রতিস্থাপন হলো একটা অত্যাধুনিক সার্জারি যেটা প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। আর্থ্রাইটিস, এক্সিডেন্ট বা কোন কারনে হাঁটু তার সাধারন কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেললে হাঁটু  প্রতিস্থাপন সার্জারি করা হয়।

  কেন হাঁটু প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন ?
মূলত তিন ধরনের আর্থ্রাইটিস এর কারনে হাঁটু সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে—
১) আঘাতজনিত আর্থ্রাইটিসঃ অনেক সময় আঘাতে হাঁটু সন্ধির চারপাশের হাড়ে চিড় ধরে, লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়।
২) অস্টিওআর্থ্রাইটিসঃ অস্টিওআর্থ্রাইটিস সাধারণত ৫০ বছরের পর হয়; তবে যেকোনো বয়সেও এ রোগ হতে পারে।
সাধারণ বয়সজনিত অসুখ এটি। এতে সন্ধি ক্ষয়ে যায়, সন্ধির চারপাশের লিগামেন্টগুলো আংশিক বা পুরোপুরি ছিঁড়ে যায়। এতে সাধারণত হাঁটু ক্রমেই শক্ত হয়ে যায় ও ব্যথা করে।
৩) রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসঃ অনেক সময় হাঁটু সন্ধির চারপাশে থাকা সাইনোভিয়াল মেমব্রেন মোটা হয়ে যায় ও প্রদাহে আক্রান্ত হয়। প্রদাহের কারণে সন্ধির ভেতরের কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি ক্ষয়ে যায় ও ব্যথা শুরু হয়।

 কিভাবে নিশ্চিত হবেন যে আপনার সার্জারির প্রয়োজন?
 এক্স-রে, এমআরআই।
 রক্ত ও প্রস্রাবের পরীক্ষা, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রামও।
 ভুক্তভুগি বাক্তির বাহ্যিক হাঁটাচলা সাধারণ হাঁটু সন্ধির নাড়াচাড়া, শক্তি, লিগামেন্ট ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা হয়।

 সার্জারির ফলাফলঃ
সাধারণত হাটু প্রতিস্থাপন সার্জারির পরে একজন ব্যাক্তি সাধারণ জীবনযাপন করতে পারেন , তবে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সার্জারির পর দৌড়ানো, জগিং, লাফানো ইত্যাদি নিষেধ করা হয়।
 সাধারনত তিন ধরনের ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে,
• ধাতব ইমপ্ল্যান্ট (দেশি ও বিদেশি)
• ছিরামিক ইমপ্ল্যান্ট (দেশি ও বিদেশি)
• প্লাস্টিক ইমপ্ল্যান্ট (দেশি ও বিদেশি) 
 খরচঃ 
 খরচ নির্ভর করে কোন হাসপাতালে করা হচ্ছে,
 কী ধরনের ধাতব ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা হচ্ছে,
 বাকি খরচ হাসপাতাল, ডাক্তার ও ওষুধের।

No comments:

Post a Comment