Friday, March 22, 2019

আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রধান কয়েকটি জেনারেল সার্জারি সম্পর্কে -

থাইরয়েড টিউমার অপারেশনঃ
থাইরয়েড ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যা সময়মতো চিকিৎসা করলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা যায়। ক্যান্সার শনাক্ত হলে বা ক্যান্সার আছে এমন সন্দেহ হলে অতিদ্রুত নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ বা গলার অপারেশনে পারদর্শী কোনো সার্জনের কাছে যেতে হবে। থাইরয়েড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন বা সার্জারি করা। আক্রান্তের ধরনের ওপর নির্ভর করবে থাইরয়েড গ্রন্থির কতটুকু কাটতে হবে। অনেক সময় পুরো থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। একে বলে টোটাল থাইরয়েডেকটমি।
কিডনির পাথর অপারেশনঃ
কিডনির যেসব রোগ বের করা গেছে তার মধ্যে পাথর একটি পুরনো রোগ। পাথরগুলো কেবল কিডনিতে নয়, এর বিভিন্ন অংশে হতে পারে। কিডনিতে হতে পারে। কিডনির ভেতর থেকে বের হওয়া বৃক্ক নালীতে হতে পারে, প্রস্রাবের থলেতে হতে পারে এবং থলের থেকে বের হয়ে অনেক সময় পাথর মূত্রনালিতে আটকা পড়ে।আর যদি প্রস্রাবের নালিতে বা থলেতে পাথর থাকে তবে অবশ্যই সেটা টিউব দিয়ে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বের করে আনা হয়। এভাবে বেশিরভাগ সময় অপারেশনের দরকার পড়ে না। আর যদিও দরকার পড়ে তবে লেপারোস্কোপি করে পেটে ছোট তিনটি ছিদ্র করে বের করে দেওয়া হয়।
ফিস্টুলা ও পাইলস অপারেশনঃ
পায়ুপথের রোগের মধ্যে সাধারণ কয়েকটি নাম হল পাইলস, ফিসার, ফিস্টুলা ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি রোগ বারবার হওয়ার প্রবণতা থাকে ফিস্টুলা। এটি একবার অপারেশন করলে আবার হতে পারে তবে পাইলসে সেটা নয়।
পাইলসের অপারেশন একবার করলে বারবার করতে হয় না। সঠিক ও যথাযথভাবে এ রোগের অপারেশন হলে এবং অপারেশন-পরবর্তী নিয়ম-কানুন মেনে চললে আবার পাইলস হওয়ার আশঙ্কাই নেই। রোগীরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।
মূত্র থলির পাথর অপারেশনঃ
মূত্রনালী ছোট্ট পাথর ৪ মিলিমিটারের নিচে হলে সাধারণত প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায় ঐ সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পাথর বড় হলে বা মূত্রনালী সমপূর্ণ রূপে বন্ধ হলে দ্রুত অপারেশন প্রয়োজন। একদিকের নল বন্ধ হলে সাধারণত শরীরের ক্রিয়েটিনিন বাড়বে না, কিন্তু সে ক্ষেত্রে পাথরজনিত কিডনিটি ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পরে। যন্ত্রের মাধ্যমে (আইসিপিএল) লেজার, ল্যাপারোস কপিক বা কেটে অপারেশন করা যায়। কিভাবে অপারেশন হবে তা নির্ভর করছে কিডনির নলের পাথর কত মিলিমিটার বা সেন্টিমিটার এবং রোগীর বয়সের ওপর।
পিত্তথলির পাথর অপারেশনঃ
পিত্তথলিতে পাথর হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই (প্রায় ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই) ধরা পরে রুটিন কোনো চেকআপের সময়। সাধারণত ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে পেটের এক্স-রে'তে এবং প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় পিত্তথলির পাথর ধরা পড়ে। পিত্তথলির পাথর চিকিৎসার প্রধান উপায় হলো অপারেশন। তা পেট কেটে অপারেশনই হোক আর লেপারেস্কোপিক অপারেশনই হোক না কেন। এভাবে অনেকে হঠাৎ নিজের পিত্তথলিতে পাথর জেনে এবং যেহেতু কোনো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না, তাই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, অপারেশন করাবেন কি করাবেন না।
এ অবস্থায় অপারেশন না করালে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

Tuesday, March 19, 2019

প্রধান কয়েকটি জেনারেল সার্জারিঃ


পিত্তথলির পাথর অপারেশনঃ

পিত্তথলিতে পাথর হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই (প্রায় ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই) ধরা পরে রুটিন কোনো চেকআপের সময়। সাধারণত ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে পেটের এক্স-রে'তে এবং প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় পিত্তথলির পাথর ধরা পড়ে। পিত্তথলির পাথর চিকিৎসার প্রধান উপায় হলো অপারেশন। তা পেট কেটে অপারেশনই হোক আর লেপারেস্কোপিক অপারেশনই হোক না কেন। এভাবে অনেকে হঠাৎ নিজের পিত্তথলিতে পাথর জেনে এবং যেহেতু কোনো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না, তাই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, অপারেশন করাবেন কি করাবেন না। এ অবস্থায় অপারেশন না করালে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 
    হার্নিয়ার অপারেশনঃ                                                        
মাংসপেশির দুর্বলতা ও গঠনগত ত্রুটির জন্য যখন শরীরের অভ্যন্তরের কোনো অঙ্গের অংশ যথাস্থান থেকে বের হয়ে আসে বা বের হয়ে আসার মতো অবস্থা তৈরি করে- সেটাই হার্নিয়া। হার্নিয়া নিজে নিজে ভালো হয়ে যায় না। কিন্তু অনেকের ধারণা ওষুধপত্র সেবন করে ভালো থাকা যায়। কিন্তু হার্নিয়া ঠিক করতে হলে অস্ত্রোপচার বা অপারেশনের মাধ্যমেই করতে হয়। তবে অপারেশনের অনেকগুলো পদ্ধতি আছে। হার্নিয়া অপারেশনের সময়, শরীরের স্বস্থান থেকে বিচ্যুত অঙ্গ বা অঙ্গের কোনো অংশকে পুনরায় যথাস্থানে ফিরিয়ে দিয়ে দুর্বল পারিপার্শ্বিক মাংসপেশি ও কোষকলাগুলোকে শক্ত ও টান টান করে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবে সহজে কেউ অপারেশনে রাজি হন না এবং বিভিন্ন অজুহাতে অপারেশন করতে দেরি করতে চান।এতে রোগীর নানান সমস্যা হতে দেখা যায়। 
 এপেনডিক্স অপারেশনঃ 

আমাদের বৃহদন্ত্র নলের মতো ফাঁপা। বৃহদন্ত্রের তিনটি অংশের মধ্যে প্রথম অংশ হচ্ছে সিকাম। এই সিকামের সাথে ছোট একটি আঙ্গুলের মত দেখতে প্রবৃদ্ধি হল এপেনডিক্স। বিভিন্ন ধরণের ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা দেয়া হয়। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসায় সাধারণত অপারেশন করা হয়। অপারেশনের নাম অ্যাপেন্ডেকটমি। ল্যাপারোস্কোপিক (কী হোল) পদ্ধতিতে পেটের নিচের অংশে তিনটা ছোট ছিদ্র করে এই অপারেশন করা হয়। জটিলতাপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে তলপেট কেটে এই অপারেশন করা হয়।ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাপেনডেকটমির পরে রোগীকে সাধারণত ২ দিন বা তারও কম সময়
হাসপাতালে থাকতে হয়। পেট কেটে অপারেশন করা হলে রোগীকে হয়তো ৪ বা ৫ দিন পর্যন্ত হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।

ফাইব্রোমা অপারেশনঃ 

ফাইব্রোমা অপসারণ ত্বক থেকে টিউমার দূর করার একটি অস্ত্রোপচার। আপনার ফাইব্রোম সার্জারির পূর্বে, ফাইব্রোমার আকার, সংখ্যা এবং তীব্রতা আপনার ফাইব্রোম চিকিত্সার নির্দিষ্ট বিশদগুলি নির্ধারণ করার সময় বিবেচনায় নেওয়া হবে।

পেরিএনাল এবসেস বা ফোঁড়া অপারেশনঃ

মলদ্বারের আশপাশে এই ফোঁড়া হয়ে থাকে। ফোঁড়ার স্থানটি ফুলে যায়, প্রচ- টনটনে ব্যথ্যা ও জ্বালা থাকে। রোগীর উঠতে-বসতে ও চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। এই রোগীর একমাত্র চিকিত্সার হলো অপারেশনের মাধ্যমে পুঁজ বের করা।
লাইপোমার অপারেশনঃ 

টিউমারগুলোতে ব্যথা না করলে কিংবা হাঁটাচলার অসুবিধা না হলে সাধারণত লাইপোমার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। সৌন্দর্যগত কারণে এগুলো অপসারণ করা যেতে পারে। যদি লাইপোমা বেশি বড় হয় কিংবা খারাপ কিছু সন্দেহ করা হয় তাহলে অপারেশন করে হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা করা যেতে পারে। সাধারণত সহজ অপারেশনের মাধ্যমে এসবস লাইপোমা ফেলে দেওয়া হয়। 

ব্রেস্ট টিউমার অপারেশনঃ 

স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় যে সকল অপারেশন ব্যবস্থা রয়েছে তা হল- ক্যান্সার আক্রান্ত চাকা (টিউমার) অপসারণ এতে স্তন সংরক্ষণ করে টিউমার/চাকা অপসারণ বা স্থায়ীভাবে টিউমার অপসারণ করা যায়। এখানে সার্জন টিউমার এবং এর আশেপাশে সুস্থ টিস্যু অপসারণ করেন। সাধারণত ছোট টিউমার যেগুলো পার্শ্ববর্তী টিস্যু থেকে সহজে অপসারণ করা যায় সেগুলোর ক্ষেত্রে এধরণের সার্জারি করা হয়।




Sunday, March 17, 2019

লিউকেমিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা কি হতে পারে ?

লিউকেমিয়া কি?
লিউকেমিয়া হল ক্লোনাল ম্যালিগন্যান্ট ডিজিজ যা ব্লাড স্টিম সেলের অস্বাভাবিক বিভাজনের ফলে হয়। রক্তের অসংখ্য শ্বেত কনিকা যা পুনরায় বিভাজনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে এবং কোষ বিভাজনের একটি ভিন্ন স্টেজে অবস্থান করে সেগুলো বোন ম্যারো এবং অন্যান্য রক্ত উৎপাদনকারী টিস্যুতে গিয়ে জমা হয়। এই অস্বাভাবিক টিস্যুগুলো অন্যান্য প্রত্যঙ্গের টিস্যুগুলোতে ছড়িয়ে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে অস্বাভাবিক টিস্যু উৎপন্ন করে ফলে সার্বিক রক্ত উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।এ কারনেই লিউকেমিয়ার রোগীদের রক্ত শূন্যতা, হেমারেজ, ও ইনফেকশনের মত লক্ষণ দেখা দেয়।
রোগের কারণঃ
এই রোগের আসল কারণ এখনও অজানা। তবে নিম্নলিখিত কারণগুলোকে দায়ী করা হয়-
১) রেডিয়েশন, রঞ্জনরশ্মি।আধুনিক বিশ্বে বিভিন্ন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যাপক প্রসারে লিউকেমিয়া রোগটি বেশি হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর জাপানিদের মধ্যে এই রোগ খুব বেড়ে যায়।
২) বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল যেমন-বেনজিন নিয়ে যারা কাজ করে।
৩) কিছু কিছু ভাইরাসকে এই রোগের জন্য দায়ী করা হয়।
৪) সাইটোটক্সিক ড্রাগ- ক্যান্সারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহারের ফলে এই রোগ হতে পারে।
রোগের লক্ষণসমূহঃ
১) প্লীহার আকার বৃদ্ধির ফলে রোগী পেটে ভার বোধ করে। এছাড়া ঘটনাক্রমে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি ধরা পড়ে।
২) লিউকেমিয়ার রোগীরা সাধারণত দুর্বলতা, রাতে ঘামানো, হালকা জ্বর নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকে।এ সকল উপসর্গ অতিরিক্ত শ্বেত কণিকা তৈরি হওয়ার কারণে হয়ে থাকে।
৩) কিছু ক্ষেত্রে রোগীর শ্বাসকষ্ট ও ঝাপসা দৃষ্টির সমস্যা হয়। এ রোগের মাত্রা বৃদ্ধি (একসিলারেটেড পর্যায়ে) পেলে জ্বর হয় তবে সংক্রমণ, অস্থিতে ব্যথা বা প্লীহার বৃদ্ধি হয়।
চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
লিউকেমিয়ার চিকিতসার মধ্যে রয়েছে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ইত্যাদি। অবস্থাভেদে কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে বোনম্যারো প্রতিস্থাপনেরও দরকার হতে পারে। 


Friday, March 15, 2019

লিভার সুস্থ রাখার পরিচিত কিছু শাক-সব্জি ও ফলমূলঃ

আমাদের দেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ লিভার। যার ওজন প্রায় তিন পাউন্ড। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হজমশক্তি এবং পুষ্টিধারণসহ আমাদের দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে এই লিভার । তাই দেহের সুস্থতার জন্য লিভারের সুস্থতা খুবই জরুরি । এটি রক্তনালী থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় এবং খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন লিভারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ওজন বৃদ্ধিহৃদরোগদীর্ঘ সময় ক্লান্তি অনুভব করাহজমের সমস্যা,এলার্জি ইত্যাদি এই সমস্ত অসুখ দেখা দিতে পারে অসুস্থ লিভারের কারণে ।


তাই দেহ ও লিভার সুস্থ রাখার জন্য চিনে নিন এমন কিছু খাবার যা সুস্থ রাখবে আপনাকে-


1) পাতিলেবুর রস:

লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ডি লিমনেন উপাদান লিভারে এনজাইম সক্রিয় করে। প্রতিদিন লেবুপানি পান করুন,চাইলে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন

2) সবুজ শাক:

সবুজ শাকে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন অন্যান্য খাবারে থাকা রাসায়নিক পদার্থ এবং কীটনাশকের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে থাকে যা লিভারের জন্য বেশ উপকারী ।
3) শালগম:

মুলো জাতীয় শালগম শীতকালীনসবজি হিসেবে পরিচিত। এটি এক প্রকার রূপান্তরিত মূল এবং মাটির নিচের অংশ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়শালগমে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা লিভারের সার্বিক কাজে সহায়তা করে থাকে ।
4) রসুনের কোয়া:

লিভার পরিষ্কার রাখার জন্য উত্তম খাবার হল রসুন। রসুনের এনজাইম লিভারের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান পরিষ্কার করে। প্রতিদিন যে কোন সময় ২/৩ টি রসুনের কোয়া খেয়ে নিন।
5) হলুদ:

মূল্যবান অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর হলুদ লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে হেপাটাইটিস বি এবং সি এর ভাইরাস নির্মূলেও এই হলুদ অত্যন্ত সহায়ক। শরীরে হজমে এবং পিত্তথলী পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে হলুদ।
7) আপেল:

আপেল অতি পরিচিত একটি ফল। এটি বহু গুণে গুণান্বিত। আপেলের রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। আপেলের পেক্টিনফাইবার দেহের পরিপাক নালী হতে টক্সিন ও রক্ত হতে কোলেস্টরোল দূর করে এবং সাথে সাথে লিভারকেও সুস্থ রাখে। তাই লিভার সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ১ টি করে আপেল খান।
6) আমলকী:

আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য সব চাইতে উপকারী ভেষজের মধ্যে একটি। এটি আপনি প্রতি দিনই খেতে পারেন এবং এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং আছে দারুণ সব উপকার। আমলকীর অনেক গুণাগুণ রয়েছে। আমলকী লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং হজমে 
8) জাম্বুরা (বাতাবি লেবু):

জাম্বুরা ফলটি সরাসরি বা জুস করে খেলে তা ক্যান্সার উৎপাদক উপাদান এবং টক্সিন নির্মূলে লিভারকে সহায়তা করে থাকে। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

Wednesday, March 13, 2019

পারকিনসন রোগঃ


পারকিনসন রোগ হল এক প্রকারের স্নায়ু-অধঃপতনজনিত (নিউরো-ডিজেনারাটিভ) রোগ। রোগটি বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন- পারকিনসোনিজমশেকিং পালসি, প্যারালাইসিস এজিট্যান্স। এ রোগটি সবচেয়ে পরিচিত নিউরো-ডিজেনারাটিভ নামে তবে এর বেশির ভাগ কারণই অজানা।

🔀  কাদের হয়ে থাকে এই রোগ ?

পঞ্চাশ এর অধিক বয়স এর লোকেদের সাধারনত হয়ে থাকে। মুখ দিয়ে লালা পড়া, মুখ-অবয়ব, ছোট পদক্ষেপে দ্রুত লয়ে হাঁটা, হাঁটা বা চলাচল শুরু করতে দেরি হওয়া, হাঁটার সময় হাত না নড়া, হাঁটতে হাঁটতে ঘুরতে গেলে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা, মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, সবসময় হাত-পা কাঁপা, ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত হতে পারেন একজন পারকিনসন রোগী।

🔀 উপসর্গ ও লক্ষণঃ

শরীরে দুর্বলতা বিভ্রান্তি এবং স্মৃতিশক্তির বিলোপ, মাথায় কিংবা হাতে বা চোখের পাতায় কম্পন অনুভুত হওয়া, ভারসাম্য রক্ষায় অপারদর্শিতা, পেশির অনমনীয়তা ভাব, ধীরগতির চলাফেরা, বিশ্রামের সময় মাথায় কিংবা হাতে মৃদু কম্পন অনুভব করা, বিষাদগ্রস্ত ইত্যাদি লক্ষণগুলোই পারকিনসন রোগের প্রধান উপসর্গ। এসব লক্ষণ দেখা মাত্রই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
🔀 কিভাবে এই রোগ নির্ণয় করবেনঃ

১) সিটিস্ক্যান
২) রক্তের কিছু পরীক্ষা। 

🔀 চিকিৎসাঃ

যদিও পারকিনসন রোগের বিশেষ কোন প্রতিকার নেই। তবে ইলেকট্রোথেরাপি, স্পিচ থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমে পুনর্বাসন করাই হল চিকিৎসার মূল লক্ষ্য।

⧭ রোগের লক্ষণ কমানোর জন্য কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়।

⧭ পারকিনসন রোগের জন্য  DEEP BRAIN STIMULATION  সার্জারি করা যায়।

⧭ ওষুধ সেবন এবং পাশাপাশি লাইফস্টাইলেও পরিবর্তন রোগীর  উন্নতিতে সাহায্য করে।


* পারকিনসন রোগে আক্রান্তদের পুষ্টিকর সুষম খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফলমূল থাকতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

* পারকিনসন রোগে আক্রান্তরা অনেক সময় হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে আহত হতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে পড়ে গিয়ে শরীরের হাড় ভেঙে যায়। এর জন্য সচেতন থাকতে হবে এবং হাঁটা-চলার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। হাটার সময় বেশি কিছু বহন করবেন না। ঢিলে কম বোতাম যুক্ত পোশাক পরুন।


Tuesday, March 12, 2019

ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়ঃ


একটা সময় ছিল যখন ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষকে বাঁচানো যেতনা। এখন অবশ্য ব্লাড ক্যান্সারের অনেক আধুনিক চিকিৎসা বের হয়েছে। তবে এই চিকিৎসায় ব্লাড ক্যান্সার ভাল হয়েছে এমন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে তবে সঠিক চিকিৎসা করিয়ে রোগীকে অনেকদিন সুস্থ রাখা সম্ভব। কিন্তু এই ধরণের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই জেনে নিন ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিরোধের কয়েকটি উপায়-

ব্লাড ক্যান্সারের প্রকারভেদঃ-

)  শ্বেতকণিকা থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সারকে লিউকেমিয়া ব্লাড ক্যন্সার বলে। এই ধরণের ব্লাড ক্যান্সার তিন ধরণের হয়ে থাকে।

১। একিউট মাইলোবস্নাস্টিক লিউকেমিয়া
২। একিউট লিমফোবস্নাস্টিক লিউকেমিয়া
৩। ক্রনিক লিমফোসাইটিক লিউকেমিয়া

)  লসিকা গ্রন্থি থেকে সৃষ্ট এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সারকে লিমফোমা বলে।এই ধরণের ব্লাড ক্যান্সার ২ ধরণের হয়ে থাকে।

১। হজকিন ও নন হজকিন লিমফোমা
২। লিমফোবস্নাস্টিক লিমফোমা ইত্যাদি।

)  মাইলোমা ও প্লাজমা সেল লিউকেমিয়া প্লাজমা সেল থেকে সৃষ্ট বস্নাড ক্যান্সার।

§  ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণসমূহঃ-

রক্ত কণিকাগুলো সঠিক মাত্রায় উৎপন্ন না হলে রক্তশূন্যতা, রক্তক্ষরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে রোগীর মৃত্যু ঘনিয়ে আসে।

§  রক্তশূন্যতাজনিত লক্ষণঃ-

১) শরীরে ইনফেকশনের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ফলে লাগাতার জ্বর থাকতে পারে।
২) রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা দেখা দেয়, যেমন নাক, দাঁতের মাড়ি, চোখ ও ত্বকে রক্তক্ষরণ এবং মাসিকের সময় বেশি রক্ত যাওয়া প্রভৃতি হতে পারে।
৩) যেমন-অবসাদ ও দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি।
৪) গলায়, বগলে বা অন্যত্র লিম্ফনোড বড় হওয়া।
৫) শরীর বা হাড়ে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা।
৬) লিভার ও স্পিলিন বড় হয়ে যাওয়া।
§  প্রতিরোধের উপায়ঃ


১) যেসব রোগীকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি একসঙ্গে দেয়া হয় তাদের মধ্যে বস্নাড ক্যান্সারের প্রবণতা প্রায় ২০ গুণ বেড়ে যায়।
২) এক্স-রে বিভাগে ও নিউক্লিয়ার বিভাগের কাজ করার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৩) রাসায়নিক দ্রব্যাদির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।
৪) ধূমপান ও তামাক জর্দা পরিহার করতে হবে।
৫) সকল ধরণের তেজস্ক্রিয়তা পরিহার করতে হবে।

§  ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকিঃ

বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রতি লাখে ৪ থেকে ৫ জন বস্ন্যাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সে হিসাব অনুযায়ী ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে প্রতিবছর ৬-৭ হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছেন।
§  ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয়ঃ-

১। বোনাম্যারো ও ট্রিফাইন বায়োপসি পরীক্ষা: কোমরের হাড় থেকে অস্থিমজ্জা সংগ্রহ করে পরীক্ষা।
২। লিমফোনোড এফএনএসি ও বায়োপসি পরীক্ষা: লসিকা গ্রন্থি থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা।

§  চিকিৎসাঃ

১। কেমোথেরাপি
২। বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন (মেরুমজ্জা প্রতিস্থাপন)
৩। টার্গেট থেরাপি।
৪। ইমিউনো বা বায়োলজিক্যাল থেরাপি।

§       ক্যান্সার হলে কিংবা ক্যান্সারের কোন লক্ষণ দেখা দিলে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।এই রোগ শরীরে যত জমিয়ে রাখবেন রোগ পরবর্তীতে আরও বারতে থাকবে।  


Monday, March 11, 2019

ক্যান্সার চিকিৎসাঃ

বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষের সমন্বয়ে গঠিত। এই কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মারা যায়। এই পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন কোষ এসে জায়গা করে নেয়। সাধারণভাবে কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মমতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়।

সাধারণভাবে বলতে গেলে, যখন এই কোষগুলো কোনও কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে। এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে।
বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজনক্ষম হয়ে বৃদ্ধি পাওয়া কলাকে নিয়োপ্লাসিয়া (টিউমার) বলে, এবং সেরকম ক্রিয়াযুক্ত কোষকে নিয়োপ্লাস্টিক কোষ বলে। নিওপ্লাস্টিক কোষ আশেপাশের কলাকে ভেদ করতে না-পারলে তাকে বলে নিরীহ বা বিনাইন টিউমার।নিওপ্লাসিয়া কলা ভেদকক্ষমতাসম্পন্ন হলে তাকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সার, এবং তার অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনক্ষম ভেদক ক্ষমতাযুক্ত কোষগুলিকে ক্যান্সার কোষ বলে।নামে বিনাইন অর্থাত নিরীহ হলেও, বিনাইন টিউমারও চাপ দিয়ে আশেপাশের কলার ক্ষতি করতে পারে। মেটাস্টাসিস হলো ক্যান্সারের একটি পর্যায়, যাতে ক্যান্সার কোষগুলি অন্যান্য কলাকে ভেদ করে ও রক্ত, লসিকাতন্ত্র ইত্যাদির মাধ্যমে দূরবর্তী কলায় ছড়িয়ে যায়।
 ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছ। কলার উৎস অনুসারে ক্যান্সারের প্রকারঃ
কার্সিনোমাঃ
এটা খুব সাধারণ ধরনের ক্যান্সার। ফুসফুস, মলদ্বার, স্তন এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এর অন্তর্ভুক্ত।
সার্কোমাঃ
সাধারণত হাড়ের, কশেরুকা, চর্বি বা মাংসপেশির ক্যান্সারকে সার্কোমা বলে।
লিম্ফোমাঃ
আমাদের শরীর জুড়ে লিম্ফ নোড ছড়ানো রয়েছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এই লিম্ফ নোডের সাথে জড়িত। লিম্ফ নোডের ক্যান্সারকেই লিম্ফোমা বলে।
লিউকেমিয়াঃ
রক্ত কোষের ক্যান্সারকেই লিউকেমিয়া বলে। এই রক্তকোষগুলো হাড়ের মজ্জা থেকে জন্ম নেয়।
 ক্যান্সারের কিছু সাধারণ চিকিৎসাঃ
অস্ত্রোপচার(সার্জারি)— ক্যান্সারের কোষগুলোকে দেহ থেকে অপসারণ করা হয়।
কেমোথেরাপী — ক্যান্সারের কোষগুলোকে মেরে ফেলতে ঔষধের ব্যবহার করে।
বিকিরণ — ক্যান্সারের কোষগুলোকে মেরে ফেলতে উচ্চ শক্তির রশ্মি ব্যবহার করে।
হরমোন থেরাপী — ক্যান্সারের অবস্থার আরও অবনতি করে এমন হরমোন উৎপাদন বন্ধ করতে ঔষধ ব্যবহার করে।

Saturday, March 9, 2019

সন্তান না হওয়ার কারণ বা বন্ধ্যাত্বঃ

ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব একটি গুরুতর সমস্যা। যদি এক বছর কোনো দম্পতি একসাথে থাকেন এবং কোনোরকম বাধা ছাড়া (প্রোটেকশন) শারীরিক মেলামেশা করে, এরপরও যদি তাদের সন্তান না হয় তাহলে আমরা বলতে পারি তারা ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছে।


* বন্ধ্যাত্বের কারণঃ
.
স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজন বন্ধা হতে পারে। চিকিৎসার মাধ্যমে বন্ধ্যাত্বের অনেক কারনগুলো সারিয়ে তোলা যায়। এখানে বন্ধ্যাত্বের বেশ কিছু কারন তুলে ধরা হলো –

১) স্বামীর কারণে বন্ধ্যাত্বঃ
.
 একটি অণ্ডকোষ, লুপ্তপ্রায় অণ্ডকোষ, অণ্ডকোষ জণ্মগতভাবে না থাকলে।
 শুক্রাণু বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ অণ্ডকোষে রক্ষা না হলে।
 অণ্ডকোষের প্রদাহ, মামস বা গলাফুলা রোগের প্রদাহের কারণে।
 স্বামীর বীর্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শুক্রাণু না থাকলে।
 যৌনাঙ্গে যক্ষ্মা, গনোরিয়া প্রভৃতি রোগ থাকলে৷
 মৃত শুক্রাণু বা শুক্রাণুবিহীন বীর্যের কারণে।
 অণ্ডকোষের শিরার স্ফীতাবস্থা। 
 যৌনক্রিয়ায় অক্ষম হলে।
 বিকৃত শুক্রাণু থাকলে।
২) স্ত্রীর কারণে বন্ধ্যাত্বঃ
.
 থাইরয়েড এবং লিভারের কোনও জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকলে।
 প্রজনন অঙ্গে যক্ষ্মা, গনোরিয়া ইত্যাদি রোগ হলে ৷
 যদি জরায়ুর আকৃতিগত কোনও সমস্যা হয়।
 ডিম্বাশয় যদি সঠিকভাবে কাজ না করে।
 ডিম্বাশয়ে টিউমার থাকলে।
 ঋতুস্রাবের সমস্যা থাকলে।
 জরায়ুর টিউমার হলে।
 তলপেটে প্রদাহ হলে।
 বংশগত।

* নারী বা পুরুষ যে কোন একজনের অক্ষমতার কারনে সন্তান না হতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো সমস্যা নেই তারপরও সন্তান হচ্ছে না। 
.
* সন্তান প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়ার কিছু কারণঃ
.
১) বয়সঃ  আর্থিক ভাবে সচ্ছল, সুস্থ-স্বাভাবিক ও দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন সম্ভব হলে মেয়েদের ক্ষেত্রে ২০-৩৫ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ২০-৪০ বছর হলো সন্তান ধরণের শ্রেষ্ঠ সময়। 
.
২) ওজনঃ  অতিরিক্ত বেশি বা কম ওজনের কারণে শরীরের মধ্যে হরমোনাল ইমব্যালেন্স সৃষ্টি হতে পারে, যেটা নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সন্তান প্রজনের অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে।
.
৩) ধূমপানঃ  সিগারেটের ধোঁয়া মহিলাদের শরীরের ফ্যালোপাইন টিউবকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার কারণে ডিম্বানু নারীগর্ভে মসৃণভাবে পৌঁছাতে পারে না। আবার ধূমপান পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেন। যা পুরুষের বীর্য কে সন্তান প্রজননের অযোগ্য করে তুলতে পারে।
.
৪) মদ্যপানঃ  অতিরিক্ত মদ্যপান পুরুষদের স্পার্মের গুণাগুণ নষ্ট করে। গবেষকদের মতে, বন্ধ্যাত্ব থেকে দূরে থাকতে কম মদ্যপান করাই বুদ্ধিমানের কাজ। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই বিষয়টি প্রযোজ্য।
.
৫) মানসিকচাপঃ  বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট ও স্পার্মের গুণাগুণ নষ্ট করে। এক্ষেত্রে মহিলাদের ডিম্বস্ফোটনে সমস্যা হয়।

 সন্তান ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপসঃ
.
• পিরিয়ড বা মাসিকের অষ্টম (৮) দিন থেকে ১৭ দিন পর্যন্ত গর্ভধারণের মোক্ষম সময়। এই সময় শারীরিক মিলন গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক গুণ বাড়ীয়ে দেয়।
.
• পুরুষের শুক্রাণু জরায়ু বা ডিম্বনালীতে দুই থেকে তিনদিন বেঁচে থাকে। কিন্তুনারীর ডিম্বাণু মাত্র ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা নিষিক্ত হওয়ার অবস্থায় থাকে। তাই ডিম্বাণুনিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য দিনে শারীরিক মিলন না করে মাসিক শেষ হওয়ার পর একদিন পর পর শারীরিক মিলন করতে হবে। যেন ডিম্বাণু প্রস্তুত হলে শুক্রাণু মিলিত হতে পারে।
.
• নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাবার দাবার ইত্যাদি বিষয় ঠিক রাখা খুব জরুরী মা হতে চাইলে। তবে আর একটি ব্যাপার আছে  শারীরিক মিলন।


* শারীরিক মিলনে করণীয়ঃ
.
১) মিশনারি না নারীর উপরে পুরুষ এই অবস্থায় শারীরিক মিলন করুন।
২) মিলনের পর কম করে ২০-৩০ মিনিট নারীর উপর শুয়ে থাকুন।
৩) সাধারণত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগের সময় কে বেঁচে নিন মিলনের জন্য।