Thursday, July 25, 2019

হার্ট নিয়ে দু চার কথা -

মানুষের হৃদয় একটি অঙ্গ যা সারা শরীর জুড়ে রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতির মাধ্যমে রক্ত পাম্প করে, টিস্যুতে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য বর্জ্য অপসারণ করে।
হার্ট দূর্বলতার এমন কিছু লক্ষন যেগুলো দেখা মাত্রয় সাবধান হওয়া উচিতঃ

- শ্বাসকষ্ট
- দুশ্চিন্তা
- মাথাঘোরা
- অত্যধিক দূর্বলতা
- অস্বস্তি, বুকে চাপ
- বাম হাত সহ পিঠ, চোয়াল,ঘাড় ব্যথা
- হজমে সমস্যা

- ঘাম, বমি ভাব, বমি
- স্নায়ু সমস্যা
- বুকে জ্বালাপোড়া
- অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন
- বুকে ব্যথা
- ঠান্ডা সহ্য করতে না পারা
- কাজের সময় বা ঠান্ডায় বুকে চাপ
- শরীরের মধ্যভাগে মেদ বৃদ্ধি



হার্ট এটাক হওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা তার কিছু সময়কাল ধরে এই লক্ষণ সমূহ দেখা দিতে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে আবার কোন লক্ষণ ছাড়াই হার্ট এটাক হতে পারে। লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে বিশ্রাম বা ঔষধ প্রয়োগের অপেক্ষা না করে রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

    হৃদরোগের কারণঃ
.
- ডায়াবেটিস
- অত্যধিক মানসিক চাপ
- উচ্চ রক্তচাপ/ হাইপারটেনশন
- কিডনীর অসুখ
- মদ্যপান, ধূমপান
- অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস
- থাইরয়েড এর ত্রুটি
- ব্যাকটেরিয়াল, ভাইরাল ইনফেকশন
- জন্মগত ত্রুটি                                                           
- আয়রন অথবা প্রোটিন এর আধিক্য                         
- অতিমাত্রায় ব্যয়াম অনুশীলন
- বিশৃঙ্খল জীবনযাপন
- উচ্চ মাত্রার ব্যথানাশক ঔষধ, যেমন, Ibuprofen    
  রোগীর জন্য নিম্নলিখিত পরীক্ষা গুলির প্রয়োজন হয়ঃ

• Electrocardiogram (ECG)
• Holter monitoring
• Echocardiogram
• Stress test
• Cardiac catheterization
• Cardiac computerized tomography (CT) scan
• Cardiac magnetic resonance imaging (MRI)
.
***ভারতে চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো ধরণের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন।(মেডিকেল ভিসা ,ডাক্তার এর এপয়েন্টমেন্ট, সেকেন্ড ওপিনিয়ন) 
                                

Wednesday, July 24, 2019

ফুসফুসের কাজঃ

 ফুসফুস মানব দেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। আমাদের বুকের বাম দিকে রয়েছে হৃৎপিণ্ড এবং হৃৎপিণ্ডের দুপাশ জুড়েই রয়েছে এর অবস্থান। ফুসফুসের প্রধান কাজ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে সাহায্য করা।
 ফুসফুসের কাজঃ
১) আমাদের নাকের মাধ্যমে ঢুকে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় বস্তুকে দেহের বাইরে বের করে দেয়।

২) ফুসফুস আমাদের মস্তিষ্কে দূষিত বায়ু প্রবেশে বাধা দেয় এবং বিশুদ্ধ বায়ু প্রেরণে ভূমিকা রাখে।



 শ্বাসতন্ত্রের সমস্থ রোগের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার সবচেয়ে মারাত্মক রোগ।
 কারণঃ
ধূমপান (শতকরা ঌ০ ভাগ ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী)। তাই ধূমপান কমালে ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার হার কম হয়ে যাবে। মহিলাদের সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার জন্য তাদেরও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একজন অধূমপায়ী অপেক্ষা একজন ধূমপায়ীর ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ভয় থাকে ৪০ গুণ বেশি। যে যত বেশি ধূমপান করে তার তত বেশি ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ভয় থাকে। ধূমপায়ীদের সঙ্গে যারা চলাফেরা করে তাদেরও ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্বামী অথবা স্ত্রী একজন ধূমপায়ী হলে অন্যজনের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
লক্ষনঃ
 ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান উপসর্গ তিনটি কফ, কফের সঙ্গে রক্ত যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট।
১) কফ ও কাসিঃ কফ এ ধরণের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ। কফ প্রথমে শুষ্ক থাকে কিন্তু পরবর্তীকালে তা গাঢ় হয়ে যায়। যারা নিয়মিত ধূমপান করে তাদের কফের আওয়াজ অথবা গতি-প্রকৃতি যদি হঠাৎ বদলে যায় তবে বুকের এক্স-রে করা উচিত। ৪০ বছর বয়সের বেশি কারও যদি হঠাৎ করে কফ হয় আর তা দীর্ঘ দিনেও যদি সারতে না চায় তবে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।
২) কাশির সাথে রক্ত পড়াঃ কফের সঙ্গে রক্ত যাওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের আরেকটি প্রধান উপসর্গ এটি হিমোপটেসিস নামেও পরিচিত। সাধারণত কফের সঙ্গে একটু একটু করে রক্ত যায়। তবে ফুসফুসের ভেতর কোনও বড় শিরা বা ধমনি ছিঁড়ে গেলে মারাত্মক রক্তপাত থেকে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৩) শ্বাসকষ্ট হওয়াঃ অনেক কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। টিউমার ফুসফুসের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার জন্য, শ্বাসনালীতে চাপ দেওয়ার জন্য, ফুসফুসের চারদিকে পানি জমার কারণে, স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
 উল্লিখিত উপযুক্ত তিনটি উপসর্গ ছাড়াও আরও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে রোগী ডাক্তারের কাছে আসতে পারে। যেমন- বুকেব্যাথা, গলার লসিকা গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া, গলার স্বরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন, জন্ডিস, হঠাৎ মূর্ছা যাওয়া, ফুসফুসের চারপাশে পানি জমা, বমি ভাব থাকে, ওজন কমে যায়, খাবারে অরুচি থাকে ইত্যাদি উপসর্গ নিয়েও রোগী হাসপাতালে আসতে পারে।
 প্রতিকারঃ
রোগী ধূমপায়ী ও ৪০ বছরের বেশি বয়স হলে বা কোনো উপসর্গ দেখা দিলে (দীর্ঘদিন ধরে কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া) অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। দ্রুত রোগ ধরা পরলে যে অংশ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে তা কেটে বাদ দিয়ে রোগ নিরাময় সম্ভব। তাছাড়া কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি দেওয়া যেতে পারে। ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি প্রধান কারণ। তাই সিগারেট খাওয়া কমালে বা বাদ দিলে ফুসফুসের ক্যান্সারের হারও কমবে।

Tuesday, July 23, 2019

প্রোস্টেট ক্যান্সার কি? এর লক্ষণ, ঝুঁকি এবং চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

 প্রোস্টেট ক্যান্সার হল পুরুষদের অন্যতম কমন একটি ক্যান্সার। পুরুষদের যে প্রোস্টেট গ্রন্থিটি আছে, যেটি দিয়ে মূত্র এবং বীর্য প্রবাহিত হয়। মুত্রথলির নিচ থেকে যেখানে মুত্রনালী বের হয়, সেটির চারপাশ জুড়ে এই গ্রন্থিটি বিদ্যমান। এই গ্রন্থির ক্যান্সারকেই প্রোস্টেট ক্যান্সার বলে।
 পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। সাধারণত ৫০ এর উপরে বয়স যত বাড়ে, পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বাড়তে থাকে। বিশ্বের অনেক দেশে এই ক্যান্সার পুরুষদের সবচেয়ে বেশি ক্যান্সারে মৃত্যুর কারণ। তাই নিয়মিত টেস্ট করানো অত্যন্ত জরুরী। 
                                                                         প্রোস্টেট ক্যান্সার এর কারণঃ

প্রোস্টেট একটি কাজুবাদামের সমান গ্রন্থি। এর মধ্য দিয়েই মূত্র এবং বীর্য প্রবাহিত হয়। এই গ্রন্থির মূল কাজ হচ্ছে বীর্যের জন্য কিছুটা তরল পদার্থ তৈরি করা। যৌনকর্মের সময় যে বীর্য স্খলিত হয় সেটি আসলে শুক্রাণু এবং এই তরল পদার্থের মিশ্রণ।

 প্রসাব নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বও এই গ্রন্থির। কয়েক হাজার মাসল ফাইবার ব্যবহার করে এটা প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়াতে, কমাতে পারে।                                           
 প্রোস্টেট ক্যান্সার সাধারণত গ্রন্থিময় কোষে শুরু হয়। এটাকে বলা হয় এডিনোকার্সিনোমা। এই ক্যান্সার হলে প্রোস্টেটের গ্রন্থি কোষের আকৃতিতে ছোট ছোট পরিবর্তন শুরু হয়, যেটাকে বলা হয় প্রোস্টেটিক ইন্টারএপিথেলিয়াল নিওপ্লাসিয়া (PIN)। এটা খুব ধীরে ধীরে হয় এবং ক্যান্সারের বেশ অগ্রগতি না হলে বাহির থেকে বোঝা যায় না।
 ৫০ বছরের উপরে প্রায় অর্ধেক মানুষের প্রোস্টেটিক ইন্টারএপিথেলিয়াল নিওপ্লাসিয়া আছে। হাই-গ্রেড প্রোস্টেটিক ইন্টারএপিথেলিয়াল নিওপ্লাসিয়া থাকলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সাথে সাথে আরও পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা উচিত। তবে লো-গ্রেড প্রোস্টেটিক ইন্টারএপিথেলিয়াল নিওপ্লাসিয়া নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেয়।
 প্রোস্টেট ক্যান্সার যদি শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ধরা পড়ে তাহলে ট্রিটমেন্ট করে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব। তবে এটি যদি শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বেশ বিপজ্জনক হয়ে দাড়ায়। সাধারণত এটা হাড়ে ছড়ায়।
 প্রোস্টেট ক্যান্সার এর ঝুঁকির কারণঃ
 প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সঠিক কারণটা অস্পষ্ট। তবে এর রিস্ক ফ্যাক্টর রয়েছে বেশ কয়েকটা।
১) জেনেটিকঃ কারও জমজ ভাইয়ের যদি প্রোস্টেট ক্যান্সার হয়, তাহলে তারও হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারো পিতার যদি প্রোস্টেট ক্যান্সার থাকে, তাহলে অন্যন্য মানুষের চেয়ে তার এটা হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেশি। তবে ভাইয়ের থাকলে পিতার তুলনায় প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২) বয়সঃ ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। সাধারণত এটা হয় তাদের যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি। বয়স যতো বাড়তে থাকে, প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ততোই বেড়ে যায়।
৩) মেদবহুলতাঃ বেশ কয়েকটা স্টাডিতে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, মেদবহুলতা এডভান্সড ক্যান্সার থেকে মৃত্যুর হার বাড়ায়। এছাড়া মেদবহুলতার কারণে ক্যান্সার অনেকসময় এডভান্সড স্তরে চলে যায়।
 প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণঃ
 প্রস্টেট খুব ছোট একটা অঙ্গ। তাই প্রোস্টেট ক্যান্সার হলে প্রথমে সাধারণ কোনো লক্ষণ বুঝতে পারা যায় না। অনেকসময় ক্যান্সার হওয়ার কয়েক বছর পরেও কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না।
প্রোস্টেটটা বড় হয়ে যখন মুত্রনালিকে (যে টিউবটি মূত্রাশয় থেকে লিঙ্গ পর্যন্ত প্রস্রাব বহন করে) প্রভাবিত করে, তখন লক্ষনগুলো স্পষ্ট হয়। যখন এটা হয়, তখন নিচের লক্ষনগুলো সাধারণত দেখা যায়ঃ
১) ঘনঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে রাতের বেলায়।
২) প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়, মাঝেমধ্যে বীর্যপাতের সময়েও।
৩) প্রস্রাবে বেগ থাকে না, প্রচুর সময় লাগে।
৪) প্রসাবের সময় রক্ত পড়ে।
 প্রোস্টেট ক্যান্সার যদি এডভান্সড স্তরে চলে যায়, তাহলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারেঃ
১) হাড়ে ব্যথা, সাধারণত মেরুদন্ড, অন্ডকোষ, এবং পাঁজরে।
২) নিতম্ব বা তার আশেপাশে নতুন করে ব্যাথা দেখা দেয়া।
৩) লিঙ্গোত্থানে সমস্যা।
৪) হাড়ে ফাটল ধড়া।
 প্রোস্টেট ক্যান্সার যদি মেরুদন্ডে ছড়িয়ে পড়ে মেরুদন্ডকে সংকোচন করে দেয়, তাহলেঃ
১) পায়ে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
২) প্রসাব এবং বীর্যপাতের উপর কন্ট্রোল না থাকতে পারে।
 ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য সবগুলো উপসর্গের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। এই লক্ষণ বা উপসর্গগুলোর এক বা একাধিকটি যদি আপনার মধ্যে দেখা যায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। প্রোস্টেট ক্যান্সার যদি ছড়ানোর আগেই ধরা পড়ে তাহলে প্রতিরোধ করা যায়। তবে এই লক্ষনগুলো হলেই যে আপনার প্রোস্টেট ক্যান্সার হয়েছে তা না।
ডাক্তারি পরীক্ষাঃ
ডাক্তার যদি মনে করেন যে আপনার প্রস্টেট সমস্যা থাকতে পারে তাহলে আপনার মধ্যে কি কি লক্ষণ দেখা গেছে সেগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করবে। এর সাথে সাথে তিনি কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষাও করতে পারেন। সাধারণত যেসব ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় সেগুলো হচ্ছেঃ
১) রক্ত পরীক্ষা, একে সাধারণত পিএসএ পরীক্ষা বলে।
২) ডিআরই নামে এক ধরনের শরীর পরীক্ষা।
৩) রক্ত এবং মুত্র পরীক্ষা।
৪) ইউরোফ্লোমেট্রি বা মুত্রের প্রবাহ পরীক্ষা।
৫) আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান। এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হবে যে আপনি ব্লাডার বা মুত্রথলি কতোটা খালি করতে পারছেন।
 এডভান্সড পর্যায়ের চিকিৎসাঃ
 এডভান্সড ক্যান্সার বেশি আক্রমণাত্মক এবং এটা শরীরের অনেকাংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এডভান্সড স্টেজে কেমোথেরাপি দেয়া হতে পারে। এটা ক্যান্সার সেলকে মেরে ফেলে।
 এন্ড্রোজেন ডেপ্রিভেশন থেরাপি (ADT) হচ্ছে একটি হরমোন ট্রিটমেন্ট যেটা এন্ড্রোজেন এর প্রভাবকে কমিয়ে দেয়। এন্ড্রোজেন হচ্ছে পুরুষদের একটি হরমোন যেটি ক্যান্সারকে বাড়তে উদ্দীপিত করে। ADT এন্ড্রোজেন এর প্রভাবকে কমিয়ে দিয়ে ক্যান্সারের বাড়া কমানো এবং এমনকি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারে। রোগীদের সাধারণত লং-টার্ম হরমোন থেরাপির প্রয়োজন হয়।
 যদি হরমোন থেরাপি কাজকরা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেও অন্যান্য চিকিৎসার উপায় থাকতে পারে। তবে এজন্য আপনাকে ডাক্তারের সাথে কথা বলা লাগবে।

 ভারতে চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো ধরণের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করুন।(মেডিকেল ভিসা , ডাক্তার এর এপয়েন্টমেন্ট, সেকেন্ড ওপিনিয়ন)







Thursday, July 18, 2019

আপনি কিভাবে বুঝবেন লিভার নষ্ট হয়ে যাচ্ছেঃ

লিভার বা যকৃত আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বাহির করে দেয় ।যার জন্য এই অঙ্গটিতে ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে। তাই লিভার ডিজিজ বা হেপাটাইটিস প্রতিরোধের জন্য লিভারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা জরুরী। লিভার কখন কিভাবে নষ্ট হয় তা জানতে পারলে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে বাঁচানো সম্ভব।আসুন জেনে নেওয়া যাক কখন আমাদের লিভার নষ্ট হয়।
পেট ব্যথা ও ফুলে যাওয়াঃ
আমাদের পেটের উপরের দিকের ডানপাশে যকৃত বা লিভার অবস্থিত। শরীরের এই অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে তা লিভার ড্যামেজের লক্ষণ।এটি পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয় যা লিভার ফুলে যাওয়াকে নির্দেশ করে। এই রকম লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
পা ফুলে যাওয়াঃ
লিভার ড্যামেজে পা ফুলে যেতে পারে এবং এই সমস্যাটির বিষয়ে অনেকেই সচেতন থাকে না। যকৃত যদি ঠিক ভাবে বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বাহির করে দিতে না পারে তাহলে সেগুলো শরীরে জমতে থাকে এবং রক্ত প্রবাহকে বাঁধা দেয়। এই বিষাক্ত পদার্থ গুলো শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হয় এবং এদের বেশিরভাগই জমা হয় পায়ে। এর ফলশ্রুতিতেই পা ফুলে যায়।

ক্ষুধামন্দাঃ
লিভার সমস্যার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ক্ষুধা কমে যাওয়া। লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হলে দেহে টক্সিক উপাদানের সঞ্চয় হতে থাকে। যার ফলে ক্ষুধা কমে যায়। এছাড়াও এর ফলে ভিটামিন ও মিনারেলের শোষণ বাধাগ্রস্থ হয়। পরিণতিতে দুর্বলতা ও অবসাদগ্রস্থ হতে দেখা যায়।
বমিঃ
লিভার নষ্টের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া। লিভাবের বিষাক্ততার জন্যই বদহজম ও পেটের সমস্যা হয়। যার ফলশ্রুতিতে ক্রমাগত বমি হয়। যদি কোন কিছু খাওয়ার বা পান করার সাথে সাথে বমি বমি ভাব হয় বা বমি হয় তাহলে তাকে বুঝতে হবে ডাক্তার দেখানো জরুরি।
 চোখের বিবর্ণতাঃ
জন্ডিস বা হেপাটাইটিসের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া। বিশেষ করে সকালে চোখের বিবর্ণতা দেখা গেলে তা লিভার নষ্টের লক্ষণ বুঝায়। তাই চোখের কোন পরিবর্তন গুরুত্ব সহকারে নেয়া প্রয়োজন। কারণ এর দ্বারা বোঝা যায় আপনার যকৃত ঠিকভাবে কাজ করছেনা।




Tuesday, July 16, 2019

লিভার ক্যান্সার সম্পর্কে -

লিভার ক্যান্সারঃ
ক্যান্সার মানেই আমাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক থেকে যায়।বিশ্বব্যাপি লিভার ক্যান্সারের মূল কারণ হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস আর অ্যালকোহল।হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ থেকে ১০ শতাংশ লোক জীবনের কোন এক পর্যায়ে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
লিভার ক্যান্সারের লক্ষণঃ
এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য কোনো নিদিষ্ট বয়েসের প্রয়োজন হয়না।ক্যান্সার হওয়ার আগে লিভারে সিরোসিস দেখা দেয়, তবে এর ব্যতিক্রম হওয়াটাও অস্বাভাবিক না। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা প্রায়ই সময় পেটের ডান পাশে উপরের দিকে অথবা বুকের ঠিক নীচে মাঝ বরাবর ব্যথা অনুভব করেন যার প্রবলতা রোগী ভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।হালকা জ্বর জ্বর ভাব, ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এ রোগের অন্যতম লক্ষন।রোগীর গ্যাস, খাওয়ায় অরুচি, কিংবা মল ত্যাগের উপসর্গ থাকতে পারে। পেটে পানি থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।আবার কখনও ডাইরিয়াও দেখা দিতে পারে।
লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসা ও করণীয়ঃ
লিভার ক্যান্সার নির্ণয়ে সহজ উপায় হল আল্ট্রাসনোগ্রাম। তবে কখনো কখনো সিটি-স্ক্যানেরও প্রয়োজন হয়। রক্তের AFP পরীক্ষাটি লিভার ক্যান্সারের একটি মোটামুটি নির্ভরযোগ্য টিউমার মার্কার। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত যে কোন ব্যক্তিরই উচিত প্রতি ৬ মাসে একবার AFP ও আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করা। তবে লিভার ক্যান্সারের ডায়াগনোসিস কনফার্ম করতে হলে আল্ট্রাসনোগ্রাম গাইডেড FNAC অত্যন্ত জরুরি। শুরুতে ধরা পরলে আর আকারে ছোট থাকলে অপারেশনের মাধ্যমে এই টিউমার লিভার থেকে কেটে বাদ দেয়া যায়। আর এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন।লিভার ক্যান্সারের রোগীদের চিকিৎসা এদেশে নিয়মিত হচ্ছে।আমরা ভারতের সেরা হাসপাতাল গুলির দক্ষ হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন দ্বারা চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিচালনা করি।কোনো রকম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।